ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টেলিযোগাযোগের ১৭ প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্টে পড়ানো হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
টেলিযোগাযোগের ১৭ প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্টে পড়ানো হবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিটিসিএল, ডাক অধিদপ্তর ও টেলিফোন শিল্প সংস্থার ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হচ্ছে। এর ফলে ক্লাসরুমে বই পেন্সিলের পরিবর্তে ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পড়ালেখা করানো সম্ভব হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই বিভাগের ব্যবস্থাপনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল মাহমুদ, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র, টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল ইসলাম এবং বিজয় ডিজিটালের সিইও জেসমিন জুঁই উপস্থিত ছিলেন।

‘ডিজিটাল’ শব্দটির উৎপত্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল বিপ্লবের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণসহ ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই বিভাগের অধীন প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ডিজিটালাইজড করা এই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। এর ফলে ক্লাসরুমে বই পেন্সিলের পরিবর্তে ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পড়ালেখা করানো সম্ভব। ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা ও ফলাফলসহ প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সব কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হবে।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রাইমারি থেকে ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শুরু করতে চাই। এর ফলে অন্যরাও এগিয়ে আসবে। ছাত্রদের জন্য চিন্তা নেই। শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল পাঠদানের জন্য সক্ষমতা তৈরি করার প্রয়োজন হলে তা করা হবে। প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত কনটেন্ট আছে তবে হাইস্কুলের জন্য যথোপযুক্ত কনটেন্ট না থাকলেও বিদ্যমান কনটেন্ট দিয়ে যাত্রা আমরা শুরু করতে চাই।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত দেশের প্রায় এক হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে কম্পিউটারে বাংলা সফটওয়্যারের জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রচলিত পাঠ্যক্রমের এক বছরের সিলেবাস ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে শেষ করতে একমাসের বেশি সময় লাগে না।  

তিনি বলেন, কম্পিউটার শুধু বাংলা লেখার যন্ত্র না, প্রোগ্রামিংয়ের যন্ত্র না, কম্পিউটার সবচেয়ে বড় উপকারী হচ্ছে শিক্ষাগ্রহণ করার জন্য। কম্পিউটারে শিক্ষা বিস্তারের কাজটা যখন শুরু করি তখন কনটেন্ট ছিল না। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, পরিবর্তনটা একদম গোড়া থেকে হতে হবে’।  

মন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল করতে শিক্ষকদের ডিজিটাল শিক্ষাদানের উপযোগী করে তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শিক্ষক তৈরি না হলে কেবল যন্ত্রপাতি দিয়ে স্কুল ডিজিটাল করা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।