ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অবৈধ মোবাইল সেটের কী হবে?

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
অবৈধ মোবাইল সেটের কী হবে?

ঢাকা: জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি, আমদানি বা বাজারজাতকরণে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে সফট সলিউশন দেওয়া দেশি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিটিআরসি।

এরফলে মোবাইল গ্রাহকের হ্যান্ডসেটের নিরাপত্তা বিধান ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করছেন বিটিআরসি কর্মকর্তারা।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিটিআরসি ভবনে দেশের আইটি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটির সঙ্গে এ চুক্তি সই হয়।

বিটিআরসি জানায়, চুক্তি সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি ২০২১ সালের মার্চের মধ্যেই এ সংক্রান্ত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সরবরাহ, স্থাপন ও অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিটিআরসির এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডাটাবেজ (এনএআইডি) সিস্টেমে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ কোটি আইএমইআই নম্বর সংযোজন হয়েছে। এনএআইডি সিস্টেমের আইএমইআই, মোবাইল অপারেটরের ইআইআর এবং বিটিআরসিতে স্থাপিত জাতীয় পর্যায়ের কেন্দ্রীয় এনইআইআর একটি সমন্বিত সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে।  

এনইআইআর সিস্টেমটি সরাসরি প্রত্যেক মোবাইল অপারেটরের নিজ নিজ ইআইআর এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। গ্রাহকদের মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে ব্যবহার উপযোগী হবে। এনইআইআর সব হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাইয়ের মাধ্যমে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের প্রবেশাধিকার বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেবে।  

বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হ্যান্ডসেট গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনইআইআরের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে কেনার রশিদ যাচাই সাপেক্ষে এবং যেসব সেট উপহার হিসেবে দেশে এসেছে, তা যথেষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে এনইআইআরে সক্রিয় করা হবে। ইআইআর সিস্টেম পরিচালনায় ইতোমধ্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করা হয়েছে।  

বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালের ১ আগস্টের আগে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ও ২০১৯ সালের ১ আগস্টের পর বৈধপথে আমদানি করা এবং দেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বা সংযোজিত সব মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের তথ্য বিটিআরসিতে সংরক্ষিত রয়েছে।

এর বাইরে যেসব অবৈধ সেট রয়েছে বা বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেটগুলো পরবর্তীসময়ে বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চালানো যাবে বলে জানান বিটিআরসির মহাপরিচালক (স্প্রেকট্রাম) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শহীদুল আলম। তবে একই ব্যক্তি বারবার উপহার হিসেবে পাওয়া সেট গ্রহণযোগ্য হবে না।

একই আইএমইআই নম্বরের সেটের বিষয়ে বিটিআরসি জানায়, এগুলোর তালিকা করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালু থাকবে। তারপর সরকারের নির্দেশনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পুরনো সেটের বিষয়ে বিটিআরসি জানায়, সেগুলো আমাদের সিস্টেমে ভেরিফাই করে অ্যাকটিভ করে দেবো।

জাতীয় নিরাপত্তা, অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটের বিক্রি/আমদানি ও বাজারজাতকরণে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক ও স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলমের উপস্থিতিতে চুক্তি সই হয়। এসময় কমিশনের তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফয়সল এবং সিনেসিস আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।  

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এনইআইআর সিস্টেম সম্পন্ন হলে সরকার প্রতিবছর চার হাজার কোটি টাকার মতো বাড়তি রাজস্ব পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।