ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফাইভজির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিটিসিএল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
ফাইভজির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিটিসিএল

ঢাকা: দেশে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি তথা ফাইভজি সেবা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় টেলিফোন সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনেকশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।  

ফাইভজি মূলত শিল্প কারখানায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে, সেজন্য ফাইভজি উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প, বিটিসিএলের ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চলে ফাইভজি রেডি উচ্চগতির নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে বিটিসিএলের কার্যালয়ে টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি সদস্যদের সঙ্গে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. রফিকুল মতিন ফাইভজি নিয়ে কোম্পানির প্রস্তুতি তুলে ধরেন।

বিটিসিএল এমডি রফিকুল মতিন বলেন, ফাইবার অপটিক ছাড়া ফাইভজি কল্পনা করা যাবে না। এজন্য আমরা ফাইভজি এনাবেল প্রকল্প তৈরি করছি। ২০৩০ সালে ১১.৫ ট্যারাবাইট ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হবে। সেই প্রস্তুতি আমাদের নিতে হবে। কারণ আমাদের পূর্ববর্তী প্রক্ষেপণ ছেড়ে যাচ্ছে।

ফাইভজি উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এমডি বলেন, এই প্রকল্পের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি, এখন এটা একনেকে যাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশকে আটটি (আটটি বিভাগ) ক্লাস্টারে ভাগ করবো। এসব জায়গায় ৬০০ জিবিপিএস থেকে এক ট্যারাবাইট ক্যাপাসিটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। এরমধ্যে ঢাকা থেকে খুলনা এক ট্যারাবাইট জিবিপিএস, বরিশাল ও কুমিল্লায় ৬০০ জিবিপিএস ও বাকিগুলো ৮০০ জিবিপিএস দিয়ে যুক্ত করা হবে।

আর প্রত্যেক জেলায় ৩০০ জিপিপিএস দ্বারা কানেকটিভিটি করবো এবং রেজিলেন্স নেটওয়ার্ক তৈরি করবো। প্রত্যেক উপজেলায় ১০০ জিবিপিএস দ্বারা সংযুক্ত করা হবে বলে জানান বিটিসিএল এমডি।

বিটিসিএল এমডি জানান, এই নেটওয়ার্কে কোথাও ফাইবার অপটিক কেটে গেলে অন্য জায়গা থেকে দ্রুতই কানেকটেড করা যাবে।

ট্রান্সমিশন প্রকল্প নিয়ে বিটিসিএল এমডি জানান, প্রকল্পের পিইসি (প্রজেক্ট মূল্যায়ন) সভা হয়ে গেছে। বুয়েটকে দিয়ে সম্ভাব্যবতা যাচাই করেছি। এখন এটা একনেকে উঠবে। প্রকল্প পাস হলে আমরা আগামী বছরের জানুয়ারিতে চালু করতে পারবো। এক হাজার ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে সরকারের ঋণ ৬৭ শতাংশ এবং বাকিটুকু সরকার ইক্যুয়িটি দেবে।  

নেটওয়ার্কটিকে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ সহনীয় করতে ব্যবস্থা সম্পর্কে এমডি বলেন, যশোরে একটা এবং চট্টগ্রামে একটা রিডান্ডেন্ট করছি। যাতে কোথায় কোনো সমস্যা হলে যশোর বা চট্টগ্রাম থেকে কাভার করা যায়।  

অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পে পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল- মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, সোনাদিয়া ইকোটুরিজম পার্ক, সাবরাং ইকোটুরিজম পার্ক, নাফ ইকোটুরিজম পার্ক এবং জামালপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২০০ জিবিপিএস সম্পন্ন ৬০০ টেলিফোন লাইন এবং টেলিকম ভবন স্থাপন করা হবে বলে জানান রফিকুল মতিন।

আলোচক ছিলেন বিটিসিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এ কে এম হাবিবুর রহমান এবং এমওটিএন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী। এসময় টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী এবং সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে-সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১ 
এমআইএইচ/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।