ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিটিসিএলের টাওয়ার ব্যবহার করবে বাংলালিংক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২২
বিটিসিএলের টাওয়ার ব্যবহার করবে বাংলালিংক

ঢাকা: রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিটিসিএলের টাওয়ার ব্যবহার করবে বাংলালিংক। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান দুটি টাওয়ার শেয়ারিং সংক্রান্ত সার্ভিস লেভেল চুক্তিপত্র সই করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেনে বিটিসিএল প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই চুক্তি সই হয়।

বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. রফিকুল মতিন এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিক অস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।

চুক্তির আওতায়, বিটিসিএলের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ব্যবহার করবে বাংলালিংক। উদ্যোগটি বাংলালিংকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সহায়তা করবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া শক্তি সাশ্রয়ের পাশাপাশি জাতীয় সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এ চুক্তি সই সত্যিই একটা মাইলফলক। ইতোপূর্বে এ দুটো প্রতিষ্ঠান অপটিক্যাল ফাইবার অবকাঠামো শেয়ার করেছে। বিটিসিএল যেমন তার সম্পদ শেয়ার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তেমনি বাংলালিংক সেই সম্পদ ব্যবহার করে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। এতে উভয়পক্ষই লাভবান হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিটিটিবি (বর্তমানে বিটিসিএল) ছিল একসময় এদেশের টেলিযোগাযোগের মেরুদণ্ড। ল্যান্ডফোনে মানুষের কথা বলা কমে যাওয়ার কারণে এর গ্রাহক কমে যাওয়ায় বিটিসিএল ৪/৫ বছর আগেও বছরে ৪০০ কোটি টাকা লোকসান করেছে। আর এখন লাভের মুখ দেখছে। মানুষ এখন আমাকে বলছে তার এলাকায় টেলিফোন সংযোগ দরকার, সঙ্গে একটা জিপন ইন্টারনেট চাই। প্রযুক্তি ও পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারায় বিটিসিএল আজ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
 
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বলেন, আমরা সব সময়ই অবকাঠামো শেয়ারিংকে স্বাগত জানাই। বাংলালিংক ও বিটিসিএলের দৃষ্টান্ত অন্যরাও অনুসরণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিটিসিএলের এমডি জানান, গত বছর থেকে আমরা বাংলালিংকের সঙ্গে আমাদের ফাইবারও শেয়ার করে আসছি। উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে এনেছে। এখন দেশ এমন একটি সময় পার করছে, যখন জাতীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অবকাঠামো ভাগাভাগি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, আমরা সবসময় নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের সুযোগকে স্বাগত জানাই। এর মাধ্যমে যেমন গ্রাহকদের উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব, তেমন সম্পদ ও অবকাঠামোর উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। গত এক বছরে আমরা নেটওয়ার্কে ৩ হাজার ৩০০টিরও বেশি বেইজ স্টেশন যোগ করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই, ২৬, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।