ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এই প্রথম সংঘাতকে যুদ্ধ বলে স্বীকার করেছেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এই প্রথম সংঘাতকে যুদ্ধ বলে স্বীকার করেছেন পুতিন পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এ প্রথম বার ইউক্রেন সংঘাতকে যুদ্ধ বলে স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার মস্কোতে জনসম্মুখে প্রথমবার তিনি যুদ্ধ কথাটি বলেন।

এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর মস্কোর পক্ষ থেকে একে বিশেষ সামরিক অভিযান বলে তুলে ধরা হচ্ছিল।

পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো এ যুদ্ধের অবসান ঘটানো। এ জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ হোক, তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আর তা যত দ্রুত হয়, ততই মঙ্গল।

পুতিনের সমালোচকেরা বলে আসছেন, গত মার্চ মাসের পর থেকে ইউক্রেন সংঘাতকে যুদ্ধ বলা রাশিয়ায় অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওই সময় পুতিন একটি সেন্সরশিপ আইনে সই করেছিলেন, যাতে ইউক্রেনে হামলা-সম্পর্কিত কোনো ভুয়া তথ্য ছড়ালে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়। তাই এ প্রথম পুতিনের নিজে থেকে এ সংঘাতকে যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করার বিষয়টি কারও দৃষ্টি এড়ায়নি।

রাশিয়ার যুদ্ধবিরোধী এক নেতা বলেছেন, সেনাবাহিনী নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে এখন পুতিনের বিচার করা হোক।

ওই রাজনীতিবিদ টুইটারে বলেন, বিশেষ সামরিক অভিযান শেষ করার কোনো ডিক্রি জারি হয়নি। কোনো যুদ্ধ ঘোষণাও করা হয়নি। কয়েক হাজার মানুষ ইতোমধ্যে যুদ্ধ নিয়ে এ ধরনের কথাবার্তার জন্য নিন্দা জানিয়েছেন।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে তাদের প্রাথমিক মূল্যায়নে বলেছেন, পুতিনের মন্তব্য অনিচ্ছাকৃত। তিনি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন। তবে তারা ভবিষ্যতে ক্রেমলিনের কথাবার্তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।

এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধে তার দেশকে সহায়তা করার মানে হলো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র নিশ্চিতের জন্য বিনিয়োগ করা। জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরপরই পুতিন ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে তার মন্তব্য করেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত অবসান চায় তার দেশ। কিন্তু কিয়েভ ও ওয়াশিংটন তাতে সাড়া দিচ্ছে না। বরং রাশিয়াকে দুর্বল করে দিতে ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।

পুতিন বলেন, আমরা আলোচনার প্রস্তাব কখনোই প্রত্যাখ্যান করিনি। বরং ইউক্রেনের নেতৃত্ব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি তারা আলোচনার বিষয়টি উপলব্ধি করবে, ততই ভালো।

প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরু হয়। হামলার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোটি কোটি ডলারের অবকাঠামো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।