কলকাতা: ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ মামলার রায় বৃহস্পতিবার। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চ এ রায় দেবেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ৩২টি অঞ্চলকে উত্তেজনা প্রবণ বলে চিহ্নিত করে বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি অঞ্চলকে অতি উত্তেজনা প্রবণ বলা হচ্ছে। চিহ্নিত ৩২টি অঞ্চলের মধ্যে ৪টি উত্তর প্রদেশের। এই সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে বিমানে অতিরিক্ত সদস্য আনা হবে। ’
এই জওয়ানদের আনার জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার আইএল ৭৬ ও এন ৩২ বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশ সরকার রায়ের জন্য লখনৌর আদালত চত্বরে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করেছে। আদালতের ভেতর থাকছে ১ জন এসপি, ৬ জন এএসপি, ২২ জন ডিএসপি, ১৪৪ জন এসআই, ১০৪ জন এএসআই, ৮০৭ জন কনস্টেবল ও পিএসি-র ২০০ জওয়ান।
বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি ও বিজেপির নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি দেশের সব নাগরিককে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘কোনোরকম গুজবে কান দেবনে না। শান্তি বজায় রাখুন। ’
সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘মামলার রায় যাই হোক না কেন, কোন উস্কানিতে কান দেবেন না। ’
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দুপুরে রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে কলকাতার পুলিশ কমিশনার গৌতমমোহন চক্রবর্তী বলেন, কলকাতার মোট ৪৮টি থানার মধ্যে ১৮টিকে সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে পুলিশের বিশেষ বাহিনী ও র্যাপ মোতায়েন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, রাজ্য জুড়ে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ নজরদারি থাকবে।
এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি ও সম্প্রতি বজায় রাখার আবেদন করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১০