অযোধ্যা: নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হলো বাবরি মসজিদ মামলার রায়।
পবিত্র এ স্থানটি নিয়ে সম্ভাব্য হিন্দু-মুসলিম বিরোধ ঠেকাতে শক্ত অবস্থান নেয় ভারত।
১৯৯২ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ১৬ শতকে স্থাপিত বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেয় এবং উভয় ধর্মের অনুসারীই এ স্থানটিকে নিজেদের বলে দাবি করে।
অবশ্য অযোধ্যায় মন্দির-মসজিদ দুটোই থাকবে বলে রায় দিয়েছেন এলাহাবাদের একটি আদালত। বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটা ৫৫ মিনিটে ঐতিহাসিক ওই রায় দেওয়া হয়।
রোববার থেকে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ গেমসের আগে এ রায়কে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-হাঙ্গামার আশঙ্কা করা হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বাবরি মসজিদ নিয়ে ভারতে সংঘটিত হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় এ পর্যন্ত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের এই মামলার রায়কে সামনে রেখে হাজার হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করাসহ রায় মেনে নিয়ে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আগেই সংবাদপত্রে দেওয়া হয়েছিল বিজ্ঞাপন।
মূলত ২০০২ সালে গুজরাটে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার পর যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়িয়ে চলতেই এত সতর্কতা।
জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভারত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে দেশের তরুণরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ’
অযোধ্যা এবং উত্তর প্রদেশের চারটি স্থানসহ মোট ৩২টি স্পর্শকাতর স্থানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। শুধু উত্তর প্রদেশেই ১ লাখ ৯০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী বাহিনী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে চিদাম্বারাম জানান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২:৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০