সিউল: কোনো ধরনের অগ্রগতি ছাড়াই বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে দুই কোরিয়ার সেনা পর্যায়ের আলোচনা। যুদ্ধজাহাজ ডুবির ঘটনায় সিউল পিয়ংইয়ং এর কাছে অপরাধ স্বীকারের দাবি করলে দু’বছরের মধ্যে প্রথম অনুষ্ঠিত এ আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়।
সীমান্তবর্তী পানমুনজম গ্রামে অনুষ্ঠিত এ বৈঠককে মাসব্যাপী চলা উত্তেজনা কমানোর একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু যুদ্ধ জাহাজ চিওনান ডুবির ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষ কোনো সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যায়।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়াকে চিওনান ডুবির ঘটনাটি স্বীকার করে নেওয়াসহ ক্ষমা চাওয়া এবং এর জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। ’
চিওনানের ঘটনা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার দায়িত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সমস্যা সমাধানের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে দক্ষিণ কোরিয়া পুনর্ব্যক্ত করে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
একইসঙ্গে জলসীমায় উত্তরের চলমান সেনা হুমকি ও আগ্রাসী আচরণ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধের দাবিও জানানো হয়।
তবে চিওনান ডুবির ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় উত্তর কোরিয়া। মার্চে উত্তরের টপের্ডোর আঘাতে দক্ষিণের যুদ্ধজাহাজ চিওনান ডুবির ঘটনায় ৪৬ জন নাবিক নিহত হন বলে তদন্তের ফলাফলে জানানো হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আলোচনার তারিখ নির্ধারণে ব্যর্থ হয় দু’পক্ষ। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা উয়েনহাপকে এতথ্য জানান।
যুদ্ধজাহাজ ডুবির ঘটনা নিয়ে মাসব্যাপী চলা উত্তেজনার পর সমস্যা সমাধানে উত্তর কোরিয়াই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়।
মূলত উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং- ইল তার ছোট ছেলে কিম জং-উনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনার পর দেশটির স্থিতিশীলতা ধরে রাখার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করেন।
কিন্তু তারপরও জাহাজ ডুবির ঘটনাটি ক্রমাগত অস্বীকার করে আসছে দেশটি। একইসঙ্গে হামলার প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়া।
বৃহস্পতিবারের সেনা আলোচনায় সীমান্তে দক্ষিণ কোরিয়াকে পিয়ংইয়ং বিরোধী লিফলেট বিতরণ না করার দাবি জানায় উত্তর কোরিয়া। একই সঙ্গে দক্ষিণের যুদ্ধ জাহাজ বিরোধপূর্ণ পীত সাগর সীমান্ত অতিক্রম করেছে বলেও দাবি করে দেশটি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১০