ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইকুয়েডরে অভ্যুত্থানের চেষ্টার নেপথ্য

রানা রায়হান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১০
ইকুয়েডরে অভ্যুত্থানের চেষ্টার নেপথ্য

কিটো: গত শতকের ৯০ এর দশক থেকেই দণি আমেরিকার সবচেয়ে অশান্ত দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ইকুয়েডর। ২০০৭ সালে রাফায়েল করিয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

এর আগের এক দশকে দেশটিতে ১০ জন প্রেসিডেন্ট মতায় অধিষ্ঠিত হন।

দারিদ্র দূর করার জন্য করিয়ার দৃঢ়তাকে দেশের অধিকাংশ নাগরিকই সমর্থন করেন। সাধারণ মানুষ ইকুয়েডর থেকে দুইজন মার্কিন দূতকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তকেও সমর্থন করেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির ইজারা চুক্তি নবায়ন না করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

লাতিন আমেরিকার আরেক অবিসংবাদিত বামপন্থী নেতা ভেনিজুয়েলার হুগো শাভেজ রাফায়েল করিয়ার অন্যতম প্রধান মিত্র।

সাম্প্রতিক সময়ে, করিয়া তার দেশের সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে দেশের পুলিশ বাহিনীও রয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, গত বুধবার দেশটির সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে। যেখানে পুলিশের বেতনসহ সব সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পুলিশ বাহিনীর নানা অভিযোগ শুনতে করিয়া তাদের কাছে যান। এক পর্যায়ে বিদ্রোহী পুলিশ সদস্যরা তাকে বন্দী করে নিয়ে যায়। পরে সেনাসদস্যদের হস্তেেপ তিনি মুক্তি পান।

দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আর্নেস্তো গনজালেজ একটি রেডিওকে বলেন, ‘আমরা একটি রাষ্ট্রীয় আইনের অধীনে রয়েছি। আমরা সর্বোচ্চ কর্তৃপরে কাছে অনুগত আর তিনি হলেন প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট। ’ এর মধ্যদিয়ে সরকারের প্রতি সেনাবাহিনীর নিরঙ্কুশ আনুগত্য প্রকাশ পায়।

এদিকে, করিয়া জোর দিয়ে বলেন, বিরোধী দলের লোকজন তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। আইনপ্রণয়ন সম্পর্কেও জনগণকে ভুল পথে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পার্লামেন্টে পুলিশের বোনাস বা কোনো সুযোগ-সুবিধা খর্ব করা হয়নি।

তেল বাণিজ্য থেকে প্রচুর রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে করিয়া স্বাস্থ্যসেবা, শিা, অবসরভাতা ও অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি খরচ বাড়িয়ে দেন। তবে তার কিছু নীতির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা ইকুয়েডরেও এসে লাগে।

বিরোধীদের অভিযোগ রয়েছে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল করে দিয়েছেন করিয়া। মতায় এসে সংবিধান পরিবর্তন করেছেন। এতে তিনি পরপর দুইবার মতায় থাকতে পারবেন এমন আইন করা হয়েছে।

ইকুয়েডরের ঘটনায় দণি আমেরিকার নেতারা জরুরি ভিত্তিতে বুয়েনস আয়ারসের বৈঠকে বসেছেন। এদের মধ্যে আছেন ভেনিজুয়েলার হুগো শ্যাভেজ, বলিভিয়ার ইভো মোরালেস ও কলম্বিয়ার হুয়ান মানুয়েল সান্তোস। শুক্রবার সকালেও তারা বৈঠকে বসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।