ঢাকা: ঋণমান নির্ধারক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়রস সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ভারতে ক্রমবর্ধমান বাজেট ঘাটতি এবং ক্রমহ্রাসমান প্রবৃদ্ধি অর্থনীতিতে অধোগতি আনতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি এখনো ভারতকে BBB ক্যাটাগরিতে রেখেছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে ভারত সরকার নির্ধারণ করেছে ৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রনব মুর্খাজী বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ২০১১-১২ অর্থ বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের কাছাকাছিই হবে। ’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা বাজেট ঘাটতি কমাতে সক্ষম হব। আর জিডিপির ৫ দশমিক ১ শতাংশের কাছাকাছিই থাকবে। ’
স্ট্যার্ন্ডাড অ্যান্ড পুয়রের ঋণ বিশ্লেষক তাকাহিরা ওগাওয়া বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনা কমে গেছে এবং ঘাটতিও বেড়েছে। ফলে মধ্যম মেয়াদে দেশটির ঋন মান দুর্বলের দিকে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘তবে দীর্ঘমেয়াদে ভারতের ঋণ মান ঋণাত্মক মানের দিকে যাবে ধরে আমাদের পর্যবেক্ষণ পুনমূল্যায়ন করছি। ’
সরকারি এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ শতাংশের নিচে।
খনিজ, কৃষি এবং উৎপাদনখাতে নিম্নমুখী প্রবণতাই এর মুল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কর্মকর্তারা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মূলস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বারবার সুদের হার বাড়ানোর কারণে সবচে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিল্পখাত।
এছাড়া, বিশ্ব বাজারে বিশেষ করে ইউরো জোনের অনিশ্চয়তা এবং সরকারের নীতি নির্ধারণে অক্ষমতা ভারতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতির জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
মূল্যস্ফীতিও ভারতে একটি চলমান সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে ২০১০ সালের মার্চ থেকে এ যাবৎ ১৩ বার সুদের হার বাড়ানো হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির এ অধোগতির পরও ভারতের পুঁজিবাজার মোটামুটি চাঙ্গা বলেই মনে হচ্ছে। চলতি বছরে প্রধান সূচক সেনসেক্স বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এছাড়া ২০১১ সালের শেষ নাগাদ ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য বেড়েছে ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১২
সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর/জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর