ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

গৃহবন্দিত্ব থেকে পালিয়েছেন প্রখ্যাত চীনা ভিন্ন মতাবলম্বী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৭, এপ্রিল ২৭, ২০১২
গৃহবন্দিত্ব থেকে পালিয়েছেন প্রখ্যাত চীনা ভিন্ন মতাবলম্বী

ঢাকা: পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গৃহবন্দিত্ব থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছেন চীনের প্রখ্যাত ভিন্নমতাবলম্বী চেন গুয়ানচেঙ। আলোচিত এই অন্ধ মানবাধিকার কর্মী দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ গৃহে অন্তরীণ ছিলেন।

তবে তিনি কিভাবে সরকারের নজরদারি এড়িয়ে পালাতে সক্ষম হলেন তা এখনও রহস্যাবৃত। বর্তমানে চীনের ভেতরই কোনো অজানা স্থানে তিনি আত্মগোপন করে আছেন বলে জানা গেছে।

মানবাধিকার আইনজীবি হিসেবে বিখ্যাত চেন চীন সরকারের বিভিন্ন নীতির ঘোর সমালোচক ছিলেন। সরকারের প্রনীত জোরপূর্বক গর্ভপাত ও এক সন্তান নীতির বিরোধী কন্ঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি।

এক সন্তান নীতি ও জোরপূর্বক গর্ভপাতের বিরোধিতা করে চেন আলোচনায় আসেন ২০০৫ সালে। দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় এসময় শানডং প্রদেশের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরাগভাজন হন তিনি । সরকারের নীতির বিরোধিতার কারণে তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

শেষ পর্যন্ত তাকে কারাগারে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। ২০১০ সাল পর্যন্ত কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। তবে পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তি দেওয়া হলেও পূর্বাঞ্চলীয় শানডং প্রদেশে অবস্থিত লিনই গ্রামের নিজ বাড়িতে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়।

ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিও চিত্রে চেন তার পালানোর খবর নিশ্চিত করেন। ভিডিওতে তিনি তাকে ও তার পরিবারকে নির্যাতনের ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের প্রতি আহবান জানান। তিনি অভিযোগ করেন তাকে ও তার পরিবারকে স্থানীয় কর্র্তৃপক্ষ নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। তবে তার অবস্থান ও  পরবর্তী পরিকল্পনার ব্যাপারে কিছুই জানাননি তিনি।

চেন কখন পালিয়েছেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন তা জানা না গেলেও অনেকে ধারণা করছেন বেইজিংয়ে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে মার্কিন দূতাবাস এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।

চীনা সরকারও এ ব্যাপারে তাৎক্ষনিক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।