ঢাকা: সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে বরাদ্দকৃত সরকারি জমি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পাতিল।
শনিবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জমি নিয়ে চলমান বিতর্কে প্রেসিডেন্ট খুবই বিব্রত।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পাতিলকে তার অবসর উত্তর বাসভবনের জন্য পুনেতে একটি জমি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কিন্তু একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার একটি সংগঠন এর সমালোচনা করে বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীন পাঁচ একর পরিমাণ জমি প্রেসিডেন্টকে বরাদ্দ দেওয়াটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
আগামী জুলাইয়ে পাতিল তার পাঁচ বছর মেয়াদি দায়িত্ব থেকে অবসরে যাবেন।
তবে বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ওই জমিটি প্রেসিডেন্টকে শুধু তার জীবদ্দশায় ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃতপক্ষে তার কোনো মালিকানা নেই আর এটা তিনি হস্তান্তর বা ইজারা দিতেও পারবেন না।
ভারতের সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে, সাবেক প্রেসিডেন্ট এমনিতেই আবাসনসহ অন্যান্য সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রতিভা পাতিলকে আলাদা করে নতুন বাসভবন নির্মাণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সবাই সমালোচনা করছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত ভারতে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পালিতকে অবসরোত্তর নতুন বাসভবন নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইন ‘রাইট টু ফ্রিডম’ কার্যকর করার পর। এ আইন বলে প্রকাশিত সরকারি নথি পত্রে দেখা গেছে, ২০০৭ সালে জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিভার বিদেশ সফর বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০৫ কোটি রুপি। ভারতের ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টের জন্য এটিই সর্বোচ্চ বরাদ্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর