ঢাকা : চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লেও এপ্রিলে এসে কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগিকালচার অরগানাইজেশন (এফএও)। তবে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার এফএও থেকে বলা হয়, মার্চে তাদের খাদ্যমূল্য সূচক ছিল ২১৭ পয়েন্ট। এপ্রিলে তা নেমে আসে ২১৪ পয়েন্টে। এফএও’র খাদ্যমূল্য সূচক নির্ধারণ করা হয় খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, দুগ্ধ, মাংস এবং চিনির মূল্যের মাসিক মূল্য পরিবর্তনের ভিত্তিতে।
কিন্তু ২০০৮ সালের জুলাই থেকে সয়াবিনের বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে এবং বর্তমানে তা সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ সঙ্কটের কারণে সামনে এর দাম আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও শস্য বিশেষজ্ঞ আবদুল রেজা আব্বাসিয়ান বলেছেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কমের দিকে থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
এছাড়া, সামনের দিনগুলোতে খাদ্যমূল্য সূচক ২১৪ পয়েন্টের আশেপাশেই থাকবে বলে আশা করছে এফএও।
গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ভোজ্যতেলের উচ্চমূল্য, এশিয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা এবং খারাপ আবহাওয়া বিশ্ব বাজারে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত উৎপাদন যদি ঠিক না থাকে তাহলে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য অনেক বেড়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত সয়াবিন গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক শস্যবাজারের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সবচে বড় নির্ধারক হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়া বিশ্বে সয়াবিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা চীনের চাহিদার কারণে বাজারে আরো বেশি চাপ পড়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় সরকার বিরোধী আন্দোলন বা ‘আরব বসন্ত’ দেখা দেয় বলে মনে করা হয়।
তবে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা ২০১১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে কমতে থাকলেও তা চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসে আবার বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১২