ঢাকা: দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য আগামী ১০ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে প্রণীত ‘রোডম্যাপ’ চূড়ান্ত করতে সম্মত হয়েছেন জাপান এবং দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা।
টোকিওতে অনুষ্ঠিত জাপান ও অ্যাসেসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান)- এর ১০ সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ধরনের একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে গত বছরের আগস্টের বৈঠকে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছিল। আগামী আগস্টের বৈঠকে রোডম্যাপটি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এটি অনুমোদনের জন্য আগামী আগস্টে কম্বোডিয়াতে অনুষ্ঠেয় আসিয়ান সদস্যভুক্ত দেশ এবং জাপানের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, এ অঞ্চলে উদার বাণিজ্য, নীতির ঐক্য এবং উন্নয়ম বৈষম্য কমিয়ে আনার বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হবে।
রোডম্যাপটি অনুমোদিত হলে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানের সঙ্গে এশিয়ার এই দ্রুত উন্নয়নশীল অঞ্চলের বাণিজ্য সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে এবং এতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ ব্যাপারে জাপানের অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইয়ুকিও এদানো বলেন, ‘আসিয়ান আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন অঞ্চল এবং একই সঙ্গে এ অঞ্চল দ্রুত বর্ধনশীল একটি বাজার। ’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আসিয়ানের হাতে হাত রাখা আমাদের দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ’
এদিকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বৈঠকে আসিয়ানের প্রস্তাবিত রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) নামে একটি চুক্তিও সমর্থন করেছে জাপান।
এই চুক্তির আওতায় ১৬টি দেশ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আসিয়ানের সদস্যরা এবং তাদের ‘আলোচনা অংশীদার’- অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, নিউজিল্যান্ড, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে।
প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ‘ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি)’ এর অধীন দেশগুলোর মধ্যে ট্যারিফ কমানোর অতো কঠোর বিধান রাখার দরকার নেই- এমন প্রস্তাবনা আরসিইপিতে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের কায়োদো বার্তাসংস্থার বিশ্লেষণে এমনটিই বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর