ঢাকা: প্রবাসী ভারতীয়রা ২০১১ সালে রেমিটেন্স পাঠিয়েছে ৬ হাজার ৩শ’ ৬০ কোটি ডলার। রেমিটেন্সের এই পরিমাণ ভারতে যেকোনো সময়ে পাঠানো রেমিটেন্সের চেয়ে বেশি।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, রেমিটেন্সের পরিমাণ বাড়ার একটি কারণ ২০১১ সালে ভারতীয় মুদ্রার মূল্যপতন।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুসারে, বিশ্বের যেকোনো দেশের প্রবাসী নাগরিকদের পাঠানো রেমিটেন্সের চেয়ে ভারতীয়দের পাঠানো এই রেমিটেন্সের পরিমাণ সর্বোচ্চ। অবশ্য ২০০৮ সালেই চীনকে হটিয়ে এ স্থানটি দখল করেছে ভারত।
অপরদিকে ২০১১ সালে চীনের রেমিটেন্সের পরিমাণ ৬ হাজার ২শ’ ৫০ কোটি ডলার।
ভারতের বেশিরভাগ নাগরিক যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত আছেন। অনেকে আবার চীন, ফিলিপাইন, মেক্সিকো, পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশেও রয়েছেন। বিদেশে অবস্থানরত বিপুল সংখ্যক নাগরিক ভারতে তাদের পরিবারের কাছে যে পরিমাণ অর্থ পাঠায় তাতেই আজ দেশটির রেমিটেন্স এ অবস্থায় পৌঁছেছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, ২০১১ সালে বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে মোট রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল ৫০ হাজার একশ’ কোটি ডলার। আর ২০১৪ সাল নাগাদ এর পরিমাণ ৬১ হাজার ৫শ’ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাণিজ্য ঘাটতির কারণে বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি যে সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে সে পরিস্থিতিতে এ রেমিটেন্স প্রবাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বর্তমানে ভারতের রপ্তানির চেয়ে আমদানির পরিমাণ বেশি।
২০১১-১২ অর্থবছরে ভারত ৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের সোনা ও রূপা আমদানি করেছে। এ কারণে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ১৮ হাজার ৫শ’ কোটি ডলার।
অর্থনীতিতে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ ভারতের এ বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এ ঘাটতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনাগ্রহের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তারা।
এদিকে ঋণমান নির্ধারক প্রতিষ্ঠান স্ট্যার্ন্ডাড অ্যান্ড পুওরস ভারতের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল থেকে নিম্নগামী বলে মন্তব্য করেছে। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১২
সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর/জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর