ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য মাদক রাখার ‘বৈধতা’ চায় স্কটল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০১ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য মাদক রাখার ‘বৈধতা’ চায় স্কটল্যান্ড

ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য মাদক রাখার বিষয়টিকে অপরাধের আওতামুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে স্কটল্যান্ড সরকার। স্কটিশ সরকার চায়, যুক্তরাজ্য সরকার যেন এ সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন আনে।

 

তবে এই ক্ষেত্রে অন্যদের কাছে সরবরাহের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য রাখা অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে। স্কটিশ সরকার একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রিত মাদক সেবন সুবিধা প্রবর্তনের অনুমতির ক্ষেত্রেও আইনের পরিবর্তন চায়।

মাদক আইন ওয়েস্টমিনিস্টারে সংরক্ষিত। স্কটিশ সরকারের অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, মাদকদ্রব্য পরীক্ষাসংক্রান্ত পরিষেবা বাড়ানো এবং মাদকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে জরুরি চিকিৎসার পথ আরও উন্মুক্ত করা।  

প্রস্তাবনা ঘোষণা করে স্কটল্যান্ডের ওষুধ ও অ্যালকোহল নীতিবিষয়ক মন্ত্রী এলেনা হোয়াইটহ্যাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ব্যর্থ হয়েছে। এটিই সত্য। আমি মনে করি না যে, আমরা বিতর্কে যেতে পারব।

তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যমান মাদক আইন লোকজনকে মাদকের ব্যবহার থেকে দূরে রাখতে পারছে না। এটি লোকজনকে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া থেকে দূরে রাখছে না। এটি মৃত্যু থামাতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, আজ আমি এখানে বলতে চাই যে, অপরাধীকরণ (অপরাধের আওতাভুক্ত করা) লোকজনের অভিজ্ঞতাকে খারাপ করে, অপরাধীকরণ মৃত্যু ডেকে আনে।  

মাদক রাখা এবং সেবনকে অপরাধের আওতামুক্ত করার বিষয়টি এসএনপির দলীয় সম্মেলনে সমর্থন পাওয়ার চার বছর পর নতুন এই আহ্বান এলো।

তবে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, অবৈধ মাদক জীবন ধ্বংস করে এবং সম্প্রদায়গুলোকে ধ্বংস করে। ১০ বছরের কৌশল আমাদের ঠিক করা আছে। চিকিৎসা ও সুস্থতা নিশ্চিত এবং অবৈধ মাদকের সরবরাহ মোকাবিলা করে আমরা মাদকের ব্যবহার প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংশ্লিষ্ট ক্ষতির কারণে মাদককে অপরাধের আওতামুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।  
 
স্কটল্যান্ডে মাদকের অপব্যবহারে মারা যাওয়া লোকের সংখ্যা টানা আট বছর বাড়তে থাকার পর গত বছর ১ হাজার ৩৩৯ থেকে এক হাজার ৩৩০-এ নেমে এসেছে। ইউরোপের যেকোনো দেশের তুলনায় স্কটল্যান্ডে মাদকে মৃত্যুর হার বেশি।    

স্কটিশ কনজারভেটিভ জাস্টিসের মুখপাত্র রাসেল ফিন্ডলে বলেন, হেরোইন, ক্র্যাকসহ এ- শ্রেণীর সব মাদকে বৈধতা দিয়ে স্কটল্যান্ডে মাদকে মৃত্যুর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা পাগলামি। এর মাধ্যমে আমাদের সড়কে সড়কে আরও মাদক প্রবেশ করবে। এতে আরও জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

সূত্র: বিবিসি
 
বাংলাদেশ সময়: ০১২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।