ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপএল) চূড়ান্ত ম্যাচে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
রোববার রাতে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) জয়ে সাকিবের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
কঠিন ক্যাচটি মুঠোবন্দী করা, সিএসকের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে একটি প্রয়োজনীয় উইকেট তুলে নেয়া আর কেকেআর’র পক্ষে ব্যটিংয়ে সময় খুব প্রয়োজনীয় মুহূর্তে অসাধারণ এক বাউন্ডারি মেরে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেওয়ার সুবাদে ম্যাচ শেষে সাকিবই হয়ে উঠেছিলেন মাঠের মধ্যমণি।
সাকিবের ওই বাউন্ডারিটা ছিল এমন এক মুহূর্তে যার মাত্র কয়েক বল আগে অপর জগৎসেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস ক্যাচ আউট হয়ে কেকেআর সমর্থক আর খেলোয়াড়দের হতাশার অন্ধকারে ডুবিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত গেছেন। এ ঘটনায় কেকেআর’র মুঠোবন্দি থাকা ম্যাচটি সহসাই যেন হাত বদল করে সিএসকে’র তালুতে গিয়ে ধরা দেয়। কেকেআরের পরাজয়টা যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই প্রায় নিশ্চিত নিয়তিকে পাল্টে দিলেন বাংলাদেশের ম্যাজিক বয় সাকিব।
বিষয়টি মাঠভর্তি সবাই হৃদয়ঙ্গম করে। সতীর্থ খেলোয়াড়রা এটা অনুভব করেন আরও আবেগ দিয়ে। তাই ম্যাচ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সাকিবকে কাঁধে তুলে নেন সতীর্থরা।
আর মাঠে উপস্থিত টিভি ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে প্রথমেই মাইক্রোফোন হাতে এগিয়ে যান সাকিবের দিকে।
তাৎক্ষণিক আর সংক্ষিপ্ত ওই সাক্ষাৎকারে উচ্ছ্বসিত সাকিব বলেন, “আজ রাতে আমি মনে হয় ঘুমাতে পারব না। শাহরুখ খানও বোধহয় পাগল হয়ে গেছেন। ”
বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ক্রিকেট খেলোয়াড় এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের টেস্ট ও একদিনের ম্যাচের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে তার অবস্থান ধরে রেখেছেন।
তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই ভারতীয় মিডিয়া আর সংশ্লিষ্ট অন্যরাও সাকিবের কৃতিত্ব খাটো করে, ম্যাচের বিচারে তুলনামূলক কম কৃতিত্বধারীদের উপরে তুলে ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে।
তবে বিশ্বের ১ নম্বর অলরাউন্ডার এসবে যেন মুষড়ে না পড়েন, যেন সামনে জ্বলে ওঠেন আরও দীপ্তি নিয়ে- বাংলাদেশের আপামর জনতার প্রত্যাশা এটাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘন্টা, মে ২৮, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার, নিউজরুম এডিটর; আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর