ঢাকা: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী মার্কিন লোকসঙ্গীত শিল্পী ডক ওয়াটসন আর নেই। কয়েক প্রজন্মের জনপ্রিয় এ শিল্পী গত মঙ্গলবার উত্তর ক্যারোলিনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওয়াটনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ব্লু রিজ মাউন্টেইনের নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় ওয়েক ফরেস্ট ব্যাপ্টিস্ট মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে তলপেটে অস্ত্রোপচারকালে তিনি মারা যান।
জীবদ্দশায় মোট আটবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন ওয়াটসন। এছাড়া ১৯৯৭ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের হাত থেকে শিল্প বিষয়ক জাতীয় পদক গ্রহণ করেন তিনি।
শিশুকালে দৃষ্টিশক্তি হারালেও গিটারে ওয়াটসনের দখল ছিল অসাধারণ। ১৯৫০-৬০’র দশকে সঙ্গীতে প্রধান বাদ্যযন্ত্র হিসেবে গিটারের ব্যবহার জনপ্রিয় করেন তিনি। অথচ সে সময় ম্যান্ডোলিন, ফিডল অথবা বেনজোর সহযোগী বাদ্যযন্ত্র হিসেবে গিটার ব্যবহার করা হত। ওয়াটসন এতো দ্রুত গিটার বাজাতেন যে তার দলের সহযোগী বাদকরা তাল রাখতে হিমশিম খেয়ে যেত। তার অসাধারণ দ্রুত গতিতে গিটার বাজানোর ক্ষমতা স্তম্ভিত করত দর্শকদেরও।
ডক ওয়াটসনের জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ মার্চে কারলোট থেকে ১০০ মাইল উত্তর-পূর্ব দিকের ডিপ গ্যাপে। জন্ম পর থেকেই চোখের পেশিতে সমস্যা হওয়ার কারণে মাত্র এক বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারান তিনি। কিন্তু দৃষ্টি প্রতিবন্ধিত্ব তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
পারিবারিকভাবেই সঙ্গীত ঐতিহ্যের অধিকারী ওয়াটসন মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই বেনজো বাজাতে শেখেন। সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তার পেশাগত জীবন শুরু হয় ১৯৫৩ সালে। নিউপোর্ট লোকসঙ্গীত উৎসবে গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে খ্যাতি অর্জনের পথে পা বাড়ান ওয়াটসন। তারপর থেকে তার একের পর এক করে ৬০টি অ্যালবাম বের হয়। তুমুল জনপ্রিয়তা পায় সেগুলো।
ডক ওয়াটসনই ফিডলের সুর গিটারে বাজিয়ে এবং সফলভাবে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে লোকসঙ্গীত কম্পোজিশেনেই আমূল পরিবর্তন আনেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর