ঢাকা: লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেলরকে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। ১৯৯১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সিয়েরা লিওনে সংঘটিত গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ ও নানাভাবে সহায়তা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় টেলরকে এ সাজা দেওয়া হল।
অবশ্য টেলর (৬৪) এখনো নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করছেন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আপিলের প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় ছয় মাস সময় লেগে যেতে পারে।
নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিয়েরা লিওন বিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক রায়ের ব্যাপারে বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে সে সময় টেলরের ভূমিকা এবং জনগণের আস্থার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার বিষয়টিই রায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছে।
মামলায় বাদীপক্ষ টেলরের ৮০ বছরের সাজা দাবি করেছিল। কিন্তু সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধে সাহায্য করার পরিকল্পনায় তার অংশগ্রহণের সুযোগ কম ছিল এমন যুক্তিতে বিচারক টেলরকে ৫০ বছরের সাজা দেন।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক আদালতে গত মাসে টেলরের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণসহ ১১টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। রায় ঘোষণার আগে তাকে শেষবারের মতো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হলেও চূড়ান্ত রায়ে তাকে কারাদণ্ড দিল আদালত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নুরেমবার্গ মামলার পর এই প্রথম কোনো সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে সাজা পেলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর