ঢাকা: বিশ্বব্যাপী অস্ত্রের সঙ্গে গোলাবাবুদ বিক্রির ব্যাপারেও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক মানবিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। এ দাবিতে নতুন করে প্রচারণাও শুরু করেছে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অস্ত্র কেনা-বেচা নিয়মতান্ত্রিক করার লক্ষ্যে একটি নতুন অস্ত্র বাণিজ্য সনদ প্রণয়নের জন্য আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘে শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে এ প্রচারণা শুরু করল অক্সফাম।
অক্সফাম বলছে, যেকোনো সনদে অবশ্যই গোলাবারুদের ব্যবসাকেও নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে আনতে হবে। তা না হলে এ ধরনের সনদ অর্থহীন হবে। গুলির উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করলেই বিশ্বে বিভিন্ন স্থানে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব সংঘাত হ্রাস করা যাবে বলে মনে করছে অক্সফাম।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনসহ আরো কয়েকটি দেশ এধরনের কোনো নীতি প্রণয়নের বিরোধিতা করছে।
মিশর, সিরিয়া, রাশিয়া, ইরান, ভেনিজুয়েলা এবং আরো কিছু দেশ জাতিসংঘের চূড়ান্ত সনদে গোলাবারুদের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করছে। তারা বলছে, এটা পর্যবেক্ষণ করা খুব কঠিন হবে।
এদিকে নতুন একটি প্রতিবেদনে অক্সফাম জানিয়েছে, ছোট ও হালকা আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য গোলাবারুদের কারখানাগুলোর ব্যবসা চারশ’ ৩০ কোটি ডলার। অর্থের এ পরিমাণ এদের মধ্যে যে অস্ত্রের ব্যবসা হয় তার চেয়ে বেশি। এসব কারখানা বছরে এক হাজার দুইশ’ কোটি বুলেট উৎপাদন করে।
জাতিসংঘের নতুন খসড়া সনদ অনুযায়ী, মানবাধিকারের যেসব বিষয়ে ইতোমধ্যে ১৫৩টি দেশ প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে যেসসব শর্ত পুরা করতে যেসব দেশ ব্যর্থ হবে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। কিন্তু এ সনদে গোলাবারুদের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর