ঢাকা : আকস্মিকভাবে পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলোর ডাকা ধর্মঘটে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে ভারতের স্বাভাবিক জনজীবন। ভারতের প্রায় সর্বত্র ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল-মিটিং, সড়ক ও রেলপথ অবরোধ এবং পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।
পশ্চিমবঙ্গে ধর্মঘটের সমর্থনে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা কলকাতার হাওড়া ব্রিজ অবরোধ করে, এছাড়াও পিকেটাররা উত্তর প্রদেশে ট্রেন চলাচল থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
ধর্মঘটের সমর্থকরা কর্নাটকে বেশ কিছু যাত্রী বহনকারী বাস ভাংচুর করে। এছাড়াও ধর্মঘটের কারণে রাজধানী নয়াদিল্লির গণপরিবহন ব্যবস্থায় প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে ।
গত সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত তেল কোম্পানিগুলো পেট্রোলের ১১ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। এর ফলে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে বৃদ্ধি পায় ৭ দশমিক ৫৪ রুপি। মূল্য বৃদ্ধির সমর্থনে তেল কোম্পানিগুলো বলছে , বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রা রুপির অব্যাহত দরপতনের কারণে অব্যাহত লোকসানের মুখে পড়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা পেট্রোলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর প্রতিবাদেই মাঠে নামে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল। ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল, রাস্তা অবরোধ এবং সরকারি অফিস আদালতে পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া গেছে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে।
বৃহস্পতিবারের ধর্মঘট সমর্থন করে রাজধানী দিল্লির একজন দোকানদার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে জানান, ‘তেলের মূল্য বৃদ্ধি আমাদের মেরে ফেলছে অপরদিকে সরকার এখনও ঘুমিয়ে আছে, আজকে আমরা তাদেরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেব। ’
ধর্মঘটের সমর্থনে তিনি বৃহস্পতিবার সারা দিন দোকান খুলবেন না বলে জানিয়ে তিনি বলেন তার মত আরও অনেকেই আজকের ধর্মঘটের সমর্থনে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা থেকে বিরত রয়েছেন। ধর্মঘটের প্রভাবে সরকারি অফিস আদালতে , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মিল কারখানায় উপস্থিতি অনেক কম বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর