ঢাকা: ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার আক্রান্তের হার বেড়ে যাবে প্রায় ৭৫ শতাংশ। ফলে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় দুই কোটি ২২ লাখে।
শুক্রবার দ্য ল্যানচেট অনকোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ফ্রান্সের ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)। গবেষক দলের প্রধান ফ্রেডি ব্রে জানান, নতুন সংক্রমণের ৯০ শতাংশ ঘটনাই ঘটছে দরিদ্রতম দেশগুলোতে।
১৮৪টি দেশ থেকে ক্যান্সার সম্পর্কিত এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক দেশে সংক্রমণজনিত ক্যান্সারের সঙ্গে সমান তালে বাড়ছে মলাশয়, মলনালী, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্তের ঘটনা। আর এসব ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে পশ্চিমা প্যাকেটজাত বা জাঙ্ক ফুড গ্রহণ করা।
২০০৮ সালে ধনী দেশগুলোতে এ ধরনের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও বেশি। অপরদিকে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যনালী, পাকস্থলী এবং যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধনী ও মধ্যম উভয় আয়ের দেশেই জরায়ুমুখ ও পাকস্থলীতে ক্যান্সার সংক্রমণের হার চোখে পড়ার মত।
গবেষণা প্রতিবেদনেও দরিদ্র দেশগুলোতে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের হার খুব বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি স্তন ও যকৃতের ক্যান্সারের চেয়ে এ ধরনের ক্যান্সারের পরিমাণ এসব দেশে অনেক বেশি।
গবেষকদের মতে, ক্যান্সার সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের ধারা বজায় রাখলে দেখা যাবে ১ কোটি ২৭ লাখ থেকে এ সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যেই ২ কোটি ২২ লাখে পৌঁছে গেছে।
তবে প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক অবস্থায় রোগ সনাক্ত এবং উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হলে এ সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর