ঢাকা: ভেনিজুয়েলায় আগ্নেয়াস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন প্রণীত আইনের অধীনে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের বাণিজ্যিক বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশটিতে।
এ আইন কার্যকর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অস্ত্র রাখার অনুমোদন প্রাপ্ত যে কোনো ব্যক্তি বাণিজ্যিকভাবে খোলাবাজার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ কিনতে পারেন কোনো জবাবদিহি ছাড়াই।
নতুন আইনের অধীনে শুধুমাত্র সেনাবাহিনী, পুলিস ও অনুমোদনপ্রাপ্ত নিরাপত্তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারকদের থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কিনতে পারবে।
অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ক্রমবনতিশীল আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই ভেনিজুয়েলার সরকার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকারি হিসেবেই গত বছর ভেনিজুয়েলায় ১৮ হাজার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এবং দেশটির রাজধানী কারাকাসকে বর্তমানে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বিপজ্জনক শহরগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আইন শৃংখলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের জন্য ভেনিজুয়েলা সরকার ইতিমধ্যেই একটি আগ্নেয়াস্ত্র বিস্তার বিরোধী কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এর কমর্সূচির মাধ্যমে জনগণকে তাদের অধিকারে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে উদ্ধুব্ধ করা হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্রধারীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে অস্ত্র জমা দিলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।
ভেনিজুয়েলা ছাড়াও বেশ কিছু লাতিন রাষ্ট্রে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের হার বৈশ্বিক হত্যাকাণ্ডের হারের (প্রতিলাখে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ) থেকে অনেক বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোতে হত্যাকাণ্ডের হার বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে অনেক বেশি। এ সব হত্যাকাণ্ডের অধিকাংশই সংঘটিত হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে দক্ষিণ আমেরিকায় সংঘটিত হত্যাকান্ডের প্রায় ৭০ শতাংশই ঘটে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারে, যেখানে পশ্চিম ইউরোপে এই হার ২৫ শতাংশের বেশি নয়।
বংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১২
বাংলাদেশ সময়: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর