ইউরেনিয়াম উৎপাদন ও ওয়ারহেড বৃদ্ধি এবং পারমাণবিক বোমার ডেলিভারি সিস্টেম উন্নয়েনের মাধ্যমে পাকিস্তান ক্রমবর্ধমান হারে পারমাণবিক অস্ত্রাগার প্রসারিত করে চলেছে। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও দেশটি এখনও তার পারমাণবিক অস্ত্রাগার বৃদ্ধির প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রের বিশ্লেষণে দেখা যায় পাকিস্তানের সেনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে এমন কিছু নির্মাণকাজ চলছে যা দেখে মিসাইল সাইলো বলে মনে হয় এবং মনে করা হচ্ছে এগুলো পাকিস্তানের পারমাণবিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত।
পাকিস্তানের কাছে প্রায় ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্রের ওয়ারহেড মজুত রয়েছে। দেশটি বর্তমানে প্রতি বছর ১৪ থেকে ২৭ টি নতুন ওয়ারহেড তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পাকিস্তানের মিরাজ-থ্রি এবং ফাইভ ফাইটার গুলো পারমাণবিক হামলার জন্য তৈরি থাকে বলে ধারণা করা হয়। পাকিস্তান এই বোমারু ফাইটার গুলো দুটি ঘাঁটিতে প্রস্তুত রাখে। করাচির কাছে মাসরুর বিমান ঘাঁটিতে ৩২তম উইংয়ের অধীনে তিনটি মিরাজ স্কোয়াড্রন রয়েছে। এই ঘাঁটির পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র মজুদাগারের অবস্থান।
বর্তমানে পাকিস্তানের কাছে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম ছয় ধরনের মিসাইল রয়েছে। মিসাইল গুলো হাতফ সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো হলো স্বল্প-পাল্লার আবদালি, গজনভি, শাহীন-আই/এ, নাসর এবং মাঝারি পাল্লার ঘৌরি ও শাহীন-২। এই মিসাইল গুলো কঠিন-জ্বালানি নির্ভর এবং রোড-মোবাইল ব্যালিস্টিক মিসাইল হওয়ায় সহজে স্থানান্তরযোগ্য।
পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম আরও দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চলমান রখেছে পাকিস্তান। এগুলো হলো মাঝারি-পাল্লার শাহীন-থ্রি এবং এমআইআরভেদ আবাবিল।
বাণিজ্যিক উপগ্রহ চিত্রের বিশ্লেষণে ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের অন্তত পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি রেখেছে যেখান থেকে দেশটি পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম। ঘাঁটি গুলো হলো আকরো, গুজরানওয়ালা, খুজদার, পানো আকিল, সারগোধা।
পাকিস্তানের ক্রমাগত সম্প্রসারিত পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারকে শুধু ভারত নয়, পশ্চিমাও উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের বলেছিলেন, পারমাণবিক নিরাপত্তা, কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে সমন্বয়ের অভাবের কারণে পাকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলির মধ্যে একটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
এমএম