ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পদত্যাগ করলেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
পদত্যাগ করলেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ।

এসএনপি এবং স্কটিশ গ্রিনদের মধ্যে ক্ষমতাসীন জোটের অবসান ঘটার পরপরই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন।

বিরোধী দলগুলো দুটি অনাস্থা ভোট উত্থাপন করেছিল যেখানে ইউসুফের হেরে যাওয়ার আমঙ্কা ছিল বলে মনে হয়েছিল।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ঘোষণায় ইউসুফ বলেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে বাণিজ্য করতে রাজি নই বা কেবল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কারও সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি নই।

তহবিল কেলেঙ্কারি এবং গত বছর দলীয় নেতার পদ থেকে নিকোলা স্টারজিওনের পদত্যাগের মধ্যে স্বাধীনতাপন্থী এসএনপির জনপ্রিয়তা কমেছে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দলটি কতটা প্রগতিশীল নীতি গ্রহণ করবে তা নিয়ে অভ্যন্তরীণ লড়াই চলছে।

চলতি মাসে ইউসুফ বলেছিলেন, অনাস্থা ভোটে জিততে পারবেন বলে তিনি 'বেশ আত্মবিশ্বাসী'। তবে সোমবারের মধ্যে তার সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্যান্য দলের সঙ্গে তার আলোচনার প্রস্তাব স্পষ্টতই অনিশ্চিত ছিল।

যুক্তরাজ্যের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মুসলিম প্রধান এবং স্কটল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ নির্বাচিত নেতা ইউসুফ বলেছেন, গত সপ্তাহে স্কটিশ গ্রিন পার্টির সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি শেষ করার পর যে আঘাত আসতে পারে, তা তিনি বুঝতে পারেননি, ‘অবমূল্যায়ন’ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে সম্পর্ক মেরামত করা কেবল অন্য কাউকে দিয়েই সম্ভব। ’

ইউসুফের পদত্যাগের ফলে স্কটিশ পার্লামেন্টকে ২৮ দিনের মধ্যে এই পদে অন্য কাউকে বসাতে হবে। সে ক্ষেত্রে  সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলে নির্বাচন হবে।

পদত্যাগের ভাষণে ইউসুফ যত দ্রুত সম্ভব তার স্থলাভিষিক্ত খুঁজে বের করার জন্য নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার আহ্বান জানান। ততদিন পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

ইউসুফের জন্ম গ্লাসগোতে। তার পিতামহ-পিতামহী এবং বাবা ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান থেকে স্কটল্যান্ডে চলে এসেছিলেন।

এসএনপির কেন্দ্রীয় নীতি- যুক্তরাজ্যের বাকি অংশ থেকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন হিসাবে তিনি নেতৃত্বের লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তার মেয়াদ ছিল মাত্র এক বছর।  

তিনি বলেন, ‘আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি যে একদিন আমি দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করব। যখন আমি ছোট ছিলাম, আমার মতো দেখতে লোকেরা রাজনৈতিক প্রভাবশালী অবস্থানে ছিল না, সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া তো দূরের কথা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।