ইউরোপীয় নেতারা সতর্ক করে বলেছেন, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ইউক্রেনের সীমান্ত পরিবর্তন করা যাবে না। তারা গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে এই সতর্কতা দিলেন, কেননা মাত্র তিনদিন পরই আলাস্কায় ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, ইউক্রেনের জনগণকে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের স্বাধীনতা দিতে হবে। ভৌগোলিক অখণ্ডতার নীতিকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বলপ্রয়োগে পরিবর্তন করা যাবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের মধ্যে ২৬ জন নেতা এই বিবৃতিতে সই করেন। এতে সই করেননি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং বারবার ইউক্রেনের প্রতি ইইউর সমর্থন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন।
বিবৃতিতে ইউরোপের উদ্বেগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়—বিশেষ করে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশগুলো ও যেসব দেশে সোভিয়েত দখলের স্মৃতি এখনও জাগ্রত—তারা মনে করে, ইউক্রেনে মস্কোর কার্যকলাপ নিকট ভবিষ্যতে সরাসরি হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
সম্প্রতি সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে, বাল্টিক দেশগুলো বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা ফিরিয়ে এনেছে এবং পোল্যান্ড রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর দেয়াল নির্মাণে কোটি কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে সীমান্ত পরিবর্তনের, তাই যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে তা অনুমোদন দেয়, তা নিয়ে তাদের উদ্বেগ তীব্র। বলপ্রয়োগে দখল করা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া ইইউর কাছে অগ্রহণযোগ্য।
আরএইচ