ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ০৮ মে ২০২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কয়েকজন ভারতীয় সেনা আটকের দাবি পাকিস্তান অবজারভারের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩৪, মে ৭, ২০২৫
কয়েকজন ভারতীয় সেনা আটকের দাবি পাকিস্তান অবজারভারের পাকিস্তান অবজারভারের অনলাইন সংস্কারে প্রকাশিত সংবাদের অংশ

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রতিরোধে তারা পাঁচটি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে।

এ ছাড়া পাল্টা সামরিক অভিযানে কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে আটকেরও দাবি করেছে দেশটি।

বুধবার (৭ মে) দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘পাকিস্তান অবজারভার’ এমন দাবিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, ভারতের বিমান হামলার জবাবে চালানো পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একাধিক ভারতীয় সেনাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটলো, যখন দুই দেশের সীমান্তে টানা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

যাদের আটকের দাবি করা হচ্ছে তাদের ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম কী হবে, তা নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

খবরে আরও বলা হয়েছে, ভূপাতিত হওয়া ভারতীয় বিমানের তালিকায় বহুল আলোচিত রাফায়েল জেট রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এদিকে, পাকিস্তান সরকার ভারতকে পাল্টা জবাব দেওয়ার ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছে সেনাবাহিনীকে।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) বলেছে, আত্মরক্ষার স্বার্থে পাকিস্তান নিজেদের মতো করে, যেকোনো সময় ও যেকোনো পদ্ধতিতে পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে।  

জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে এনএসসি জানায়, নিরীহ পাকিস্তানিদের প্রাণহানি এবং তাদের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যেকোনো সময়, স্থান ও পদ্ধতিতে আত্মরক্ষায় প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের নগ্ন আগ্রাসনে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত। তবে পুরো জাতি পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্য গর্বিত এবং তাদের পাশে আছে। যে কোনো ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের মুখেও জাতি ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক এই উত্তেজনা যদি দ্রুত প্রশমিত না হয়, তাহলে তা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। দুই পক্ষই সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।