গত ৩ মে ৭ বছর বয়স হতো ফিলিস্তিনি শিশু হিন্দ রজবের। গাজায় নিহত ওই শিশুর স্মরণে গঠিত ‘হিন্দ রজব ফাউন্ডেশন’ সেদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়।
ফাউন্ডেশন জানায়, লেফটেন্যান্ট কর্নেল বেনি আহারনের নির্দেশে হিন্দ রজবের পরিবার, তাদের গাড়ি ও ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের ভ্যানে হামলা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আহারনসহ তার ব্রিগেড, ব্যাটালিয়ন এবং তার অধীনে থাকা ফিল্ড কমান্ডার ও অপারেশনাল অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
আইডিএফের চোখে বেনি আহারন একজন সুপ্রসিদ্ধ জায়নবাদী সৈনিক, যিনি হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলকে বাঁচাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি ৪০১তম ব্যটালিয়নের কমান্ডার। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে এরইমধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তিনি নাকি আইডিএফের পরবর্তী প্রধান মুখপাত্র হতে যাচ্ছেন।
আবার হিন্দ রজবের কাছে ফিরে আসি। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি পরিবারের সঙ্গে একই গাড়িতে নিহত হয় সে। ইসরায়েলি বাহিনী তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তাকে উদ্ধার করতে যাওয়া রেড ক্রিসেন্টের ভ্যানও হামলার শিকার হয়। সেবা দিতে যাওয়া চিকিৎসকও হামলা থেকে রেহাই পায়নি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। পরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে। সেই থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ৫২ হাজার ৮১০ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। আহত লোকের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে বহু আগেই। আর বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি।
জানুয়ারিতে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এখন সব ধরনের মানবিক সাহায্য প্রবেশ বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তবে শুধুমাত্র সংবাদের শিরোনাম হওয়া ছাড়া বেশি কিছু হয়নি। তাই হিন্দ রজব ফাউন্ডেশনের ওই মামলা ইসরায়েলি সেনাদের বিচারের আওতায় আনতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এফআইএম/আরএইচ