অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টের জেরে ভারতের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছেন। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানায় আল-জাজিরা।
আলি খান মাহমুদাবাদ নামে ওই শিক্ষক রোববার গ্রেপ্তার হন। তিনি অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা হয়েছে।
এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, সশস্ত্র বিদ্রোহে উসকানি বা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালানো এবং ধর্মীয় বিশ্বাসে অবমাননার অভিযোগ এনেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ৪২ বছর বয়সী মাহমুদাবাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে। তার কর্মস্থল অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়টি হরিয়ানা রাজ্যের সোনেপাতে অবস্থিত।
মাহমুদাবাদের আইনজীবী গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার মামলা দায়ের করা হয়। এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন হরিয়ানায় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) যুব শাখার সাধারণ সম্পাদক যোগেশ জাতেরি।
এর আগে পাকিস্তানে ভারতের সামরিক অভিযানের ব্রিফিং নিয়ে মন্তব্য করার পর হরিয়ানা রাজ্য নারী কমিশন অধ্যাপক মাহমুদাবাদকে তলব করেছিল। এবার তিনি গ্রেপ্তার হলেন।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের এই সামরিক অভিযান শুরু হয় ৬ মে। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার বায়োমিকা সিং অভিযান নিয়ে ব্রিফ করেন।
৮ মে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে মাহমুদাবাদ লেখেন, এত ডানপন্থী যে বিশ্লেষক কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসা করছেন, তাতে আমি বেশ খুশি। তারা একইভাবে গণপিটুনি, ইচ্ছেমতো বুলডোজিং এবং বিজেপির ঘৃণার রাজনীতির শিকার ব্যক্তিদেরও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সুরক্ষা দেওয়ার দাবিও তুলতে পারতেন।
মাহমুদাবাদ তার পোস্টে লেখেন, দুই নারী সেনা কর্মকর্তার তথ্য উপস্থাপন দৃশ্যত গুরুত্বপূর্ণ। এটি যদি বাস্তব জীবনে পরিবর্তন না আনে, তবে তা নিছক ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হরিয়ানা নারী কমিশন সোমবার জানিয়েছে অধ্যাপকের বক্তব্য ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর নারী কর্মকর্তাদের অবমূল্যায়ন করেছে এবং সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাড়িয়েছে।
মাহমুদাবাদ অবশ্য তার পোস্ট নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরএইচ