ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বুধবার দেশটির সব প্রশাসনিক সংস্থাকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আদেশ দেন।
২৫ জুন আইএইএর সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের বিল পাস করে ইরানের পার্লামেন্ট। এর আগে আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসির এক প্রতিবেদন ইরানের বিপক্ষে যায়। পরে আইএইএর বোর্ড অব গভর্নরস একটি প্রস্তাব পাস করে, যা ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে হামলার সুযোগ দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রকেও ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে উৎসাহিত করে।
পার্লামেন্টে বিলটি পাস হওয়ার পরপরই ইরানের সংবিধান পরিষদ এটি অনুমোদন করে। এর আগে, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের ওপর সরাসরি হামলা শুরু করে এবং টানা ১২ দিন ধরে ইরানের সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকায় হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ফোর্দো এবং ইস্পাহানে তিনটি বড় পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
এই হামলার পর ইরান দ্রুত পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ পরিচালনা করে এবং ২২ দফায় ইসরায়েল অধিকৃত এলাকাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইসরায়েলি শহরগুলোতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এটি পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি। পরে ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সব ধরনের সংঘর্ষ বন্ধ হয়।
আরএইচ