গ্রিসের সাইরস দ্বীপে বিক্ষোভের মুখে নোঙর করতে না পেরে গন্তব্য পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে একটি ইসরায়েলি প্রমোদতরী।
স্থানীয় মঙ্গলবার দুপুরে “ক্রাউন আইরিস” নামের প্রমোদতরীটি সাইরসের এরমোপোলি বন্দরে ছয় ঘণ্টার যাত্রাবিরতির উদ্দেশ্যে পৌঁছায়।
জাহাজটি পৌঁছানোর পরপরই বন্দর এলাকায় স্থানীয়দের একটি বড় বিক্ষোভ শুরু হয়। শুরুতে জাহাজ কর্তৃপক্ষ ধারণা করেছিল, বিক্ষোভকারীরা অল্প সময়েই সরে যাবে এবং সামান্য দেরি শেষে যাত্রীরা নেমে পড়তে পারবেন। কিন্তু বিকেল ৩টা পার হলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় জাহাজটিকে অবশেষে সাইরস না ভেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং এটি সাইপ্রাসের লিমাসল বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
এক যাত্রী ড্রর মার্শালকোভিৎস ইসরায়েলি চ্যানেল ১২-কে বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় নেয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় যিনি গন্তব্য পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি সঠিক কাজই করেছেন, বিশেষ করে শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। ”
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে আয়োজিত এই বিক্ষোভের আয়োজকেরা সামাজিক মাধ্যমে বলেন, গাজায় যখন ফিলিস্তিনিরা দুর্ভোগে আছে, তখন ইসরায়েলি পর্যটকদের এখানে স্বাগত জানানো উচিত নয়। তারা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে এই প্রতিবাদের আয়োজন করে।
গ্রিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এরমোপোলি শহরের প্রায় ১১,০০০ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩০০ জন এই বিক্ষোভে অংশ নেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, “গণহত্যা বন্ধ করো” লেখা লিফলেটগুলো জেটির দিকে যাওয়ার রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা বিক্ষোভের বার্তা স্পষ্ট করে তোলে।
এরমোপোলির সরু রাস্তায় স্থানীয় অনেকেই বিশাল একটি ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করে মিছিল করেন, “ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন!”— এই স্লোগানে আকাশ কাঁপিয়ে তোলেন তারা। বন্দর এলাকায় আরও অনেক বিক্ষোভকারী জড়ো হন, হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা, মুখে গ্রিক ভাষায় প্রতিবাদী স্লোগান।
পুরো বিক্ষোভ চলাকালে সাইরস বন্দর কর্তৃপক্ষ ও হেলেনিক পুলিশ সতর্ক অবস্থায় ছিল, তবে হস্তক্ষেপ করেনি। নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবে জেটির কাছে একটি বড় পার্কিং লট সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল, জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম সাইরস টুডে।
এমএম