সিউল: উত্তর কোরিয়ার জলসীমানায় কোনো অবাঞ্চিত প্রবেশের জবাব নির্মমভাবে দেওয়া হবে। রোববার এ বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে উত্তর কোরিয়া।
রোববার দেশটির দণি সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ নৌ মহড়া শুরুর পরিপ্রেক্ষিত এ সতর্কবার্তা জারি করেছে দেশটি।
রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থার বরাত দিয়ে দেশটির একটি সংবাদপত্রে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়ার জলসীমায় ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক আচরণের পাল্টা জবাব নির্মমভাবে দেওয়া হবে। ’
এদিকে উত্তর কোরিয়ার গোলার আঘাতে মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার দুই নৌ সেনাসহ ৪ জন নিহত এবং বেশ কিছু বাড়ি ধ্বংস হওয়ার ৫ দিন পর ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট দলের পক্ষ থেকে নতুন এই হুমকি দেওয়া হলো।
তবে পীত সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় দক্ষিণ কোরিয়ার গুলি ছোঁড়ার মহড়ার জবাবে হামলা করা হয় বলে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত সংঘটিত কোরীয় যুদ্ধের পর জাতিসংঘ উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত রেখা (এনএলএল) নির্ধারণ করে। কিন্তু এ সীমান্ত রেখা প্রত্যাখ্যান করে এটা আরও দক্ষিণমুখী করার জোর ঘোষণা দেয় উত্তর।
এর পর এ এলাকাকে কেন্দ্র করে ১৯৯৯, ২০০২ সাল এবং গত বছরের নভেম্বরে দেশ দুটির মধ্যে ভয়াবহ নৌ সংঘর্ষ হয়।
মূলত এ সীমান্ত রেখা রাই দক্ষিণের মূল উদ্দেশ্য বলে সংবাদপত্রটিতে দাবি করা হয়। একইসঙ্গে দক্ষিণের এ পদক্ষেপ দেশটির জন্য লজ্জাজনক বিপর্যয় নিয়ে আসবে বলেও সতর্ক করা হয় এতে।
তবে দক্ষিণ সীমান্তের ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে রোববার থেকে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ নৌ মহড়া বিষয়ে সংবাপত্রটিতে কিছু বলা হয়নি। তবে এ পদপক্ষে কোরীয় উপদ্বীপটিকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে বলে শনিবার উত্তরের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১০