সিউল: শক্তি প্রদর্শনে রোববার থেকে যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।
গত সপ্তাহে দুই কোরিয়ার গোলাগুলির পর নতুন করে এ মহড়ায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সমুদ্র সীমাবর্তী দ্বীপের বাসিন্দারা।
মহড়ায় অংশ নেওয়া মার্কিন পরমাণু শক্তি সম্পন্ন ও যুদ্ধ বিমানবাহী নৌযান জর্জ ওয়াশিংটন পীত সাগরে অবস্থান নিয়েছে। মূলত উত্তরের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই এ মহড়ার পরিল্পনা করা হয়।
অবশ্য এর আগেই মহড়া নিয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। দেশটির পক্ষ থেকে তখন বলা হয়- চারদিনের এ নৌ মহড়া কোরীয় দ্বীপপুঞ্জকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
একইসঙ্গে উত্তরের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ চীনও এর কঠোর সমালোচনা করে ।
তবে আকস্মিক এক সফরে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন চীনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা দাই বিংগু। এসময় তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট লি মিয়াং বাকের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেন। তবে তাৎণিকভাবে তাদের আলোচনা বিষয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
গত মে মাসে অন্তত ১১টি জাহাজ নিয়ে শুরু হওয়া এ মহড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সিউলের নেতৃত্বাধীন বহুমুখী তদন্তে উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর আঘাতে মার্চে দেিণর যুদ্ধজাহাজডুবি ও ৪৬ জন নাবিকের মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশিত হয়। এর পর পরই ধারাবাহিক নৌ মহড়ার অংশ হিসেবে রোববারের এ মহড়া শুরু করে দক্ষিণ ও এর মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার উত্তরের গোলা হামলায় দক্ষিণের ইয়নপিয়ং দ্বীপে দুই নৌসেনা ও দু’জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
তবে দক্ষিণের গুলি ছোঁড়ার মহড়ার জবাবে এ হামলা চালানো হয় বলে উত্তরের প থেকে দাবি করা হয়। একইসঙ্গে দু’জন বেসামরিক নাগরিকের নিহতের ঘটনা সত্যি হলে তা খুবই দুঃখজনক বলেও জানানো হয়।
কিন্তু নৌ ঘাঁটি থাকা সত্ত্বে দ্বীপটিতে জনগণের বসবাসকে দক্ষিণ কোরিয়া মানব বর্ম হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে বলেও অভিযোগ করে উত্তর কোরিয়া।
উত্তরের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদপত্র রডং সিনমুন রোববার এ বিষয়ে বলে, ‘ভবিষ্যতে উত্তরের জলসীমায় কোনো ধরনের অনাহুত প্রবেশ এবং উসকানিমূলক আচরণের জবাব নির্মমভাবে দেওয়া হবে। ’
বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, সীমান্তের কাছে উত্তর কোরিয়া ভূমি ও আকাশে যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে।
তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় দেশটির প্রতিরা মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১০