ব্রাসেলস: তেহরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও পশ্চিমা শক্তির মধ্যে আবারও আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। এক বছরেরও বেশি সময় স্থগিত থাকার পর আগামী সপ্তাহে জেনেভায় বিশ্বের ছয়টি পরাশক্তির সঙ্গে ইরানের এ আলোচনা শুরু হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কূটনীতিক ক্যাথরিন অ্যাশটন মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।
এক মাসেরও বেশি সময় বহু তর্ক-বিতর্ক ও ভুল বোঝাবুঝির পর শেষ পর্যন্ত ৬-৭ ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডে এ আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।
এর আগে ইরানের প্রধান আলোচক সাইদ জালিলি অ্যাশটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে এক মুখপাত্র জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছি। এক্ষেত্রে ড. জালিলি জেনেভায় সাক্ষাৎ বিষয়ে ক্যাথরিন অ্যাশটনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। ’
‘অ্যাশটন ও জালিলি আগামী সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার জেনেভায় আলোচনায় বসবেন। ’
মূলত ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে পশ্চিমা বিশ্বের এমন সন্দেহের কারণে এ আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে বরাবরই ইরান তা অস্বীকার করে আসছে।
এ আলোচনায় অ্যাশটন তথাকথিত ‘৫+১’ বা ছয়টি দেশের দলের নেতৃত্ব দেবেন। এর মধ্যে আছে জাতিসংঘের স্থায়ী পাঁচটি সদস্য দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেন। এর বাইরে রয়েছে জার্মানি।
এর আগে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বাতিল না করার জন্য চারবার জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে ইরান।
এর আগে ইউর উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে।
এদিকে, আলোচনায় পশ্চিমা বিশ্ব ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের দিকে অধিক মনোযোগ দিতে আগ্রহী হলেও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী ইরান।
অ্যাশটনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘অন্যান্য বিষয়ে কথা বলার জন্যও আমরা প্রস্তুত। তবে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য সম্পর্কেও আমরা সব সময় আমাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে আসছি। ’
মুখপাত্র মায়া কোচিয়ানচিচ বলেন, ‘এ আলোচনা প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম ধাপ বলে আমরা মনে করছি। আমরা একদিনে সব সমস্যার সমাধানের আশা করছি না। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০