জাকার্তা: ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে বৈষম্যমূলক শরীয়া আইন বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
গত রমজান মাসে খাবার দোকান খুলে বসায় মুর্নি আম্রিসকে বেত্রাঘাত করা হয়। ঘটনাটি চলতি বছরের পয়লা অক্টোবরের। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানায়, মূলত দরিদ্র নারীরা শরিয়া আইনের ভুক্তভোগী।
ধর্মনিরপে রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশেই কেবল শরিয়া আইন বলবৎ রয়েছে।
প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে দুটি ইসলামি আইনের প্রয়োগ রয়েছে। এগুলো সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করে। অন্যায়ভাবে এসব আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানায়, স্থানীয় পাঁচটি আইনের দুটিই শরিয়াভিত্তিক, যা নারীদের জন্য বৈষম্যমূলক।
এইচআরডব্লিউ জানায়, বিপরীত লিঙ্গের অবিবাহিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রণীত এ আইন তাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তপে করে। দরিদ্রদের পোশাক পরিধানের আইন থাকলেও, ধনী লোকদের েেত্র তা প্রযোজ্য নয়।
এইচআরওডব্লিউর এশিয়া বিষয়ক উপপরিচালক ইলেইন পিয়ারসন বলেন, ‘এ দুটি আইন মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে হস্তপে করে। কার সঙ্গে দেখা করবে, কী পরিধান করবে তাও আইন অনুসারে করতে হবে। ’ তিনি বলেন, ‘আইন ও এর পপাতমূলক প্রয়োগ অত্যন্ত নিপীড়নমূলক। ’
নিউইয়র্কভিত্তিক এইচআরডব্লিউ আচেহ প্রদেশে এই আইনের প্রয়োগ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সামগ্রিকভাবে শরিয়া আইনের পে বা বিপে এইচআরডব্লিউর কোনো অবস্থান নেই।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রক্ত সম্পর্ক বা বিবাহিত সম্পর্ক না থাকলে নারী-পুরুষ কোনো স্থানে সাাৎ বা কথা বলতে পারবে না।
প্রতিবেদনে একটি ধর্ষণ মামলার উল্লেখ আছে। শরিয়া পুলিশের কর্মকর্তারা একজন নারীকে আটক প্রশ্ন করে। এসময় তদন্তের অংশ হিসেবে নারীদের কুমারিত্ব পরীা দিতে বাধ্য করা হয়। কর্মকর্তারাই এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১০