টোকিও: বড় আকারের নৌ মহড়ার মধ্য দিয়ে এবার একত্রিত হতে যাচ্ছে জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কোরীয় দ্বীপপুঞ্জে বিরাজমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকদিন আগে শেষ হওয়া দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়ার পর পরই এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরীয় দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার গোলা হামলার আগেই এ মহড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। শুক্রবার থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘ধারালো তলোয়ার’ নামের এ মহড়া চলবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সিউলের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের উদ্দেশ্যে এবারই প্রথম মহড়া পর্যবেক্ষণের জন্য দণি কোরিয়ার সেনা কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় এ মিত্র। জাপানের গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।
এর মধ্য দিয়ে তিনটি দেশের সম্পর্ক জোরদার হবে বলে টোকিও আশা করছে। দেশটির কোয়োদো ও জিজি প্রেস নামের বার্তাসংস্থা এ তথ্য জানায়।
জাপানের দৈনিক সংবাদপত্র ইয়ুমুরি শিম্বুনকে উচ্চ পদস্থ এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের এটা খুবই ভাল একটি সময়। ’
যুক্তরাষ্ট্রের ১০ হাজার সেনা সদস্যসহ ২০টি রণতরী ও ১৫০টি যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে জাপানের প্রায় ৩৪ হাজার সেনা সদস্যসহ ৪০টি রণতরী ও ২৫০টি যুদ্ধ বিমান এ মহড়ায় অংশ নিবে।
২০০৭ সালের পর প্রথম সংঘটিত বড় আকারের এ নৌ মহড়া জাপানের দক্ষিণাংশের দ্বীপের জলসীমায় অনুষ্ঠিত হবে। দ্বীপটি দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূলের কাছে অবস্থিত।
তবে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বহু বছর আগেই রুটিন এ মহড়ার পরিকল্পনা করা হয় বলে মার্কিন বিমানবাহিনীর এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে উত্তরের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে চলতি সপ্তাহে পীত সাগরে চারদিনব্যাপী যৌথ নৌ মহড়া করে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। তবে আসন্ন জাপান-যুক্তরাষ্ট্র মহড়া এর থেকেও আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত হবে বলে জানা যায়।
উত্তর কোরিয়ার এ হামলার পর জাপানে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া চলাকালে যেকোনো ধরনের জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে দেশটির মন্ত্রীদের টোকিওতে থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১০