ঢাকা: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাড়তে থাকা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্যারিবীয় দ্বীপভুক্ত দেশগুলোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে ২০৮০ সাল নাগাদ এই দ্বীপভুক্ত দেশগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
মেক্সিকোর কানকুন জলবায়ু সম্মেলনে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের তিন শতাধিক পর্যটন কেন্দ্র এই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এর বাইরে নিচু এলাকায় অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, সড়ক, আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য আঘাত হয়ে দাঁড়াবে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কমসূচি (ইউএনডিপি) ও অরগানাইজেশন অব ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান স্টেট এর সহযোগিতায় এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি কমিউনিটি কাইমেট চেঞ্জ সেন্টার ও ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের যৌথ অংশগ্রহণে ‘ক্যারিবসেভ’।
এতে আরও বলা হয়েছে, সাগরের উচ্চতা বেড়ে গেলে ১৫টি ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে ক্ষয়ক্ষতি এবং তা পুনর্গঠনে যে ব্যয় হবে এর অঙ্ক গিয়ে দাঁড়াবে ১৮৭ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের মতো।
এছাড়া সাগরের উচ্চতা এক মিটার বেড়ে গেলে ১৪৯ মাল্টি মিলিয়ন ডলারের পর্যটন কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে এ অঞ্চলের কমপক্ষে ২১টি বিমান বন্দর হারিয়ে যাবে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর যদি এই বৃদ্ধির পরিমাণ এক মিটার হয় তাহলে পর্যটন কেন্দ্রের যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তার অঙ্ক ৩০৭ মাল্টি-মিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে, প্রতিবেদনে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন ক্যারিবীয়বাসী।
জতিসংঘের কেইপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জের অ্যাম্বাসেডর অ্যান্টোনিও লিমা বলেন, ‘আমরা পরিবেশ দূষণ না করলেও এ জন্য আমরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছি।
প্রতিবেদনে ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশগুলোর জন্য ধনী দেশগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় নতুন যৌথ বীমা করার কথা বলা হয়েছে।
(জ্যামাইকা অবজারভার অবলম্বনে এহেছান লেনিন)
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১০