ঢাকা: প্রেসিডেন্ট মুরসির মুক্তি ও তাকে স্বপদে বহালের দাবিতে কায়রোতে অবস্থান নেওয়া তার সমর্থকদের হটিয়ে দিতে রক্তক্ষয়ী অভিযান শুরু করেছে দেশটির বর্তমান সেনা সমর্থিত সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও নিরপেক্ষ সূত্র থেকে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
কাতারভিত্তিক চ্যানেল আল জাজিরার ওয়েবসাইটে নিহতের সংখ্যা ৩৬ জানানো হলেও মৃতের সংখ্যা দুই শতাধিক বলে সিএনএনের কাছে দাবি করেছে প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুড। এছাড়া ঠিক কতজন আহত হয়েছেন তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান এখনও পাওয়া যায়নি।
গত ৩ জুলাই বিরোধীদের ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিশরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত ও আটক করে দেশটির সেনাবাহিনী। সেই থেকে দেশটির শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার। তবে মুরসিকে উৎখাতের দিন থেকেই তার হাজার হাজার সমর্থক রাজধানী কায়রোর দু’টি স্থানে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান করছে।
স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ছয়টার কিছু পরে কায়রোর পূর্বাঞ্চলীয় নাহদা স্কয়ারে অবস্থিত মুরসি সমর্থকদের অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। একই সঙ্গে নাসর সিটিতে অবস্থিত রাবা আল আদাইয়া স্কয়ারে মুরসি সমর্থকদের ক্যাম্পেও অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ সাইটে প্রকাশিত লাইভ ফুটেজে নাহদা স্কয়ার ও রাবা আল আদাইয়া স্কয়ার থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। সেখানে অবস্থানরত সাংবাদিকরাও মুরসি সমর্থকদের জমায়েত লক্ষ্য করে গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। নাহদা স্কয়ারের ওপর দিয়ে সামরিক হেলিকপ্টারকে চক্কর দিতে দেখা গেছে।
নাহদা স্কয়ারে অবস্থানরত মুরসিপন্থি গণতান্ত্রিক জোট অ্যান্টি ক্যু অ্যালায়েন্সের সদস্য লায়লা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ইতিমধ্যেই অনেক লোককে হত্যা করা হয়েছে। এখানে যা ঘটছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ’
এদিকে অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে সেনা নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৩
সম্পাদনা: জনি সাহা ও রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর