ঢাকা: সেনা অভিযানে প্রায় দেড়শ’ মানুষ নিহত হওয়ার জের ধরে পদত্যাগ করেছেন মিশরের অন্তর্বর্তী সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এল-বারাদি।
এক ফোটার রক্ত ঝরারও দায় নিতে অপারগতা জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে কট্টর মুরসিবিরোধী সাবেক এই আমলা বলেন, ‘তারা (সেনাবাহিনী) যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার সামান্যতম দায়ভারও নিতে রাজি নই আমি এবং আমি তাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমতও নই।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মুরসির ক্ষমতাচ্যুতিকে সবার আগে স্বাগত জানানো এল বারাদির পদত্যাগ দেশটির সেনাবাহিনীকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।
এর আগে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, মুরসি সমর্থকদের রাজপথ থেকে হটিয়ে দিতে স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ছয়টার কিছু পরে রাজধানী কায়রোর পূর্বাঞ্চলীয় নাহদা স্কয়ারে অবস্থিত মুরসি সমর্থকদের অস্থায়ী ক্যাম্পে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। একই সঙ্গে নাসর সিটিতে অবস্থিত রাবা আল আদাইয়া স্কয়ারে মুরসি সমর্থকদের ক্যাম্পেও অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
অভিযানে মুরসিকে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রায় দেড়শ’ সমর্থক নিহত হয়। আহত হয় আরও প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তি। ব্যাপক সহিংসতার পর মিশরজুড়ে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত আটটা থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হওয়ার কথা।
টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ সাইটে প্রকাশিত লাইভ ফুটেজে নাহদা স্কয়ার ও রাবা আল আদাইয়া স্কয়ার থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। সেখানে অবস্থানরত সাংবাদিকরাও মুরসি সমর্থকদের জমায়েত লক্ষ্য করে গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। নাহদা স্কয়ারের ওপর দিয়ে সামরিক হেলিকপ্টারকে চক্কর দিতে দেখা গেছে।
নিহতদের মধ্যে দুইজন সাংবাদিক এবং মুসলিম ব্রাদারহুদের শীর্ষস্থানীয় নেতা মোহাম্মদ এল- বেলটাজির ১৭ বছর বয়সী কন্যা আসমা এল বেলটাজিও রয়েছে। নিহত দুই সাংবাদিকের মধ্যে একজন স্কাই নিউজ চ্যানেলের ক্যামেরাম্যান মাইক ডিন।
গত ৩ জুলাই মুরসিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সামরিক বাহিনী। গত ছয় সপ্তাহ ধরে তাঁকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে এক সময়ের নিষিদ্ধঘোষিত দল মুসলিম ব্রাদারহুড।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com