ঢাকা: সিরিয়ায় অভিযানের প্রস্তাব যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নাকচ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৩ সালে ইরাকে হামলার প্রধান সহযোগী যুক্তরাজ্যের এ পিছুটান সিরিয়ায় অভিযানের ব্যাপারে হোয়াইট হাউসকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।
পার্লামেন্টের পরামর্শক্রমে যুক্তরাজ্য সরকার সিরিয়া অভিযান থেকে সরে আসার পর থেকে প্রশ্ন উঠছে মার্কিনিরা শেষ পর্যন্ত একাই হামলা চালাবে কিনা? তবে পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব পর্যায়ের দেশটির এ ধরনের পিছুটান যুক্তরাষ্ট্রের অন্য মিত্র দেশগুলোকেও সিরিয়ায় অভিযানের ব্যাপারে নতুন করে ভাবিয়ে তুলতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে নেতিবাচক বার্তা পাওয়ার পরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সর্বোচ্চ আগ্রহ নিয়েই সিরিয়া সঙ্কট দূরীকরণে কাজ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র দেশের পার্লামেন্টে থেকে এমন অপ্রত্যাশিত খবর পাওয়ার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চাক হেগেল বলেছেন, সিরিয়া সঙ্কট মোকাবেলায় স্বেচ্ছায় কাজ করতে ইচ্ছুক এমন আন্তর্জাতিক মিত্র খুঁজে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি দাঁড় করানো দরকার।
সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবাহিনীকেই দায়ী করে আসছে মার্কিন প্রশাসন। অবশ্য বরাবরই এ দোষ বিরোধীদের ঘাড়ে চাপিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে দায়ী করছে আসাদ সরকার।
অন্য দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র কেটলিন হেডেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির ফল নেতিবাচক হওয়ার পরও প্রধান মিত্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে প্রেসিডেন্ট আসাদের সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরপরই মিত্র দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে তৎপরতা শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৩/আপডেট ১১২৮ ঘণ্টা
এইচএ/জিসিপি