ঢাকা: ২১ আগস্ট ২০১৩ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকন্ঠে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটে বলে দাবি করে বসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিরোধীরা। তাদের দাবি হামলায় কমপক্ষে ১৩’শ মানুষ নিহত হয়েছে।
হামলার পরপরই ইউটিউবে বিদ্রোহীদের আপলোড করা ভিডিওতে দেখা গেছে, অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহতরা। ভিডিওতে লাশের সারিও দেখা গেছে। পরে প্রমাণিত হয়, অনেকেই শুয়ে ছিলেন কোনো ধরণের অসুস্থতা ছাড়াই।
আন্তর্জাতিক দাতব্য মেডিকেল সংস্থা এমএসএফ জানায়, ওই হামলায় ৩’শ ৫৫ জন নিহত হয়েছে। যদিও তারা নির্দিষ্ট তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারেনি যে রাসায়নিক অস্ত্র হামলাই হয়েছিল। তবে তারা বলেছে, আহতদের অনেকেই শ্বাসকস্টে ভুগছিলেন। তারা পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও ধরে নেন এটা বিষাক্ত গ্যাসেরই প্রভাব।
এদিকে সিরিয়া সরকার বরাবরই এ ঘটনার দায় অস্বীকার করে আসছে। তারা আবার অভিযোগের তীর তুলে ধরে বিদ্রোহীদের দিকে। জল গড়িয়ে পড়ে বিশ্ব রাজনীতিও অস্থির হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা শঙ্কায় পড়ে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের মিত্র ইসরায়েল, তুরস্ক, জর্ডান ও ওই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর জন্য বিপজ্জনক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে সিরিয়া। তাই এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য ঝুঁকি বলে বিবেচিত হয়।
এদিকে সোভিয়েত পতনের মাধ্যমে ১৯৯১ সালে স্নায়ু যুদ্ধ শেষ হলেও এর উত্তেজনা এখনও রয়ে গেছে। যা প্রকাশ্যে রূপ নিচ্ছে সিরিয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্স একপক্ষে চলে গেছে, অন্য পক্ষে রয়েছে চীন ও রাশিয়া। তাদের সঙ্গে রয়েছে ইরান।
জাতিসংঘের তদন্ত
২৪ আগস্ট সিরিয়া পৌঁছে জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক শাখার প্রধান অ্যাঞ্জেলা ক্যানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সঙ্গীজোটেরা আসাদকেই মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করে। ২৬ তারিখ দামেস্কের বাফার জোনে হামলাস্থল পর্যেক্ষণ করার সময় জাতিসংঘের পর্যেক্ষক দল গুলিবর্ষণের শিকার হন। এবার পশ্চিমা গোষ্ঠি আবারও আসাদের দিকে আঙ্গুল তোলে। বরাবরের মতো আসাদ এ অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করে। ডেকে এনে কেন পর্যেক্ষকদের হত্যা করবে, এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেয় সে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের গোয়েন্দা তদন্তের বরাত দিয়ে জানায়, তারা নিশ্চিত হয়েছে আসাদ বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র হামলা করেছে। সে প্রতিবেদন তারা প্রকাশ করবে বলেও জানায়। যেটা এখনও তারা প্রকাশ করেনি। যুক্তরাজ্যও আসাদের হামলার বিষয়ে নিশ্চিত হয়। কিন্তু কিভাবে তারা নিশ্চিত হল সেটা তারা বিশ্ববাসীকে নিশ্চিত করেনি। যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব জানায়, তারা যেন দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের দায়িত্ব নেয়। জাতিসংঘের মহাসচিব জানান, শনিবারের মধ্যেই পর্যবেক্ষক দলের কাছ থেকে হামলার ব্যাপারে তারা নিশ্চিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
পশ্চিমাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি
এরমধ্যে ২৬ আগস্ট সিরিয়া সীমান্তের কাছে রণতরি পাঠায় যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ট্রুম্যান ওমানের দিকে অগ্রসর হয়। ফ্রান্স সমর্থন দেয় তাদের। সৌদি আরব ও তুরস্ক সিরিয়া নিয়ে আগে থেকেই ক্ষ্যাপা। তাই আসাদ বাহিনীকে তাদের সমর্থন দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ইসরায়েল এ বছরই সিরিয়ার বিরুদ্ধে তিনবার পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই এবারও তাদের জোরালো সমর্থন রয়েছে। কানাডার সমর্থনও সিরিয়ার বিরুদ্ধে। এদিকে সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিঁয়ারি বার্তা দেয় বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। ইরানও একই পথে হাঁটে। চীনও যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন হামলার সমালোচনা করছে।
আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপ্রেক্ষিতে ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে দুটি রণতরি পাঠায় রাশিয়া। ফ্রান্সও বসে না থেকে পাঠায় বিমান হামলা প্রতিরোধে সক্ষম অত্যাধুনিক রণতরি। দু’দেশই দাবি করে রণতরি মোতায়েনের সঙ্গে সিরিয়া সংকটের কোন সম্পর্ক নেই। তারা রুটিন মাফিক রণতরি পাঠিয়েছে। এর আগে অবশ্য ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের আদেশ পেলে তারা সিরিয়া আক্রমণে প্রস্তুত। এবার বিশ্ব অপেক্ষা করতে থাকে আরেকটি ইরাক, আফগানিস্তান কিংবা সোমালিয়ার জন্য।
তবে শুক্রবার সিরিয়ায় অভিযানের প্রস্তাব যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নাকচ হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার সিদ্ধান্তে একটু টালমাটাল অবস্থা। ২০০৩ সালে ইরাকে হামলার প্রধান সহযোগীর এ পিছুটান হয়তো সিরিয়ায় অভিযানের ব্যাপারে হোয়াইট হাউসকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। আবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী চাক হেগেল বলেই ফেলেছেন, সিরিয়া সঙ্কট মোকাবেলায় স্বেচ্ছায় কাজ করতে ইচ্ছুক এমন আন্তর্জাতিক মিত্র খুঁজছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কায়দা
ওবামা বলেছেন, প্রকাশ্যে সিরিয়া দ্বন্দ্বে জড়ানোর বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তার। কিন্তু যারা রাসায়নিক অস্ত্রের মতো অস্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা তাদের জন্য অবশ্য পালনীয়। বোধহয় এ জবাবদিহিতার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন হামলার প্রস্তুত নিয়েছে!
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে হলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে। তবে সিরিয়ার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের সর্বসম্মতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সঙ্গীজোটেরা আরটুপির আইনি ফাঁক দিয়ে সামরিক হামলার সর্ব্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাজছে যুদ্ধের দামামা
সিরিয়া হামলার পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া ও চীন।
পশ্চিমাদের সামরিক হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারির মুখে নিজের শক্তির কথা প্রকাশ করলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তিনি বলেছেন, তার দেশ যেকোনো বিদেশি হামলা প্রতিহত করবে।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স আর যুক্তরাজ্যের হুঁমকির মুখে সিরিয়ার একমন্ত্রী জানান, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চমকে দেয়ার মতো।
ময়দানে প্রতিপক্ষ
যুক্তরাষ্ট্র ও তার সঙ্গীজোটেরা বেশ আটঘাট বেঁধেই সিরিয়া আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় এমতাবস্থায় সিরিয়া কি করবে? তারা কি ধরণের প্রতিক্রিয়া দিতে প্রস্তুত? এ হামলার বিপরীতে তারা কি ছক কষছে?
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সামরিক জোট সৃষ্টি করেছে। ভূমধ্যসাগরে তারা সমন্বিত নৌবহর স্থাপন করবে। রণতরী ও ডুবোজাহাজ থেকে ভূমিতে আঘাতে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাবে।
তারা সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করবে। প্রয়োজন বোধে বাইরে থেকে স্ট্যান্ড অব উইপনও (প্রতিপক্ষের হামলার আওতামুক্ত থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা) ব্যবহার করা হতে পারে। সেক্ষত্রে সিরিয়ার বাইরে থেকে বিমানের মাধ্যমে হামলা করা হবে। তখন পাল্টা হামলা চালানো সিরিয়ার জন্য খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও বেশ সক্ষম। দেশটিতে রয়েছে রাশিয়ার সরবরাহকৃত এস-২০০/এসএ-৫ গ্যামন, এসএ-২২ এবং এসএ-১৭। এক্ষেত্রে সিরিয়াও কাজে লাগাবে চীনের অত্যাধুনিক রাডার ব্যবস্থা।
আবার দেশটির বিদ্রোহীদের কারণে প্রতিরক্ষার সমন্বয় ব্যবস্থা, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর দেশটি আস্থা রাখতে পারে। এবং এ কারণেই প্রতিপক্ষ থেকে স্ট্যান্ড অব উইপন ব্যবহার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এটা মনে রাখা উচিত কয়েক বছর আগে ইসরায়েলি জেট সিরিয়ার লক্ষ্যে আঘাত হেনেছিল। অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পশ্চিমা বিমান বাহিনী সিরিয়ার সামরিক শক্তি অবসানে দেশটির জন্য হুমকি স্বরুপ। তবে সিরিয়াও এর আগে দু’বার মার্কিন বিমান ভূপাতিত করেছিল।
বিমানের মাধ্যমে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা সরাসরি প্রতিপক্ষের বিমান হামলা হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে বিমান চালকদের নিজস্ব আত্মরক্ষার কৌশল ও প্রযুক্তি রয়েছে।
বিমান প্রতিরক্ষার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও তার সঙ্গী সামরিক জোটের নৌ হামলার জবাব দিতে সিরিয়ার অস্ত্রাগারে তুরুপের তাসের মতো রয়েছে উপকূলভিত্তিক অ্যান্টি শিপিং মিসাইল। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া থেকে আনা সুপারসনিক অ্যান্টি শিপিং মিসাইল ‘তোমাহক’। ন্যাটো ব্যূহে এর পরিচিতি এসএস-এন-২২ নামে। তবে সিরিয়ার জন্য চিন্তার বিষয় এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ‘তোমাহকের’ আওতার বাইরে অবস্থান নিতে পারে।
পশ্চিমাদের হামলায় ঠিকতে না পারলে…
সিরিয়া যদি প্রতিপক্ষের হামলার পাল্টা জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। তবে আর যেভাবে তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে-
এর একটি পন্থা হতে পারে বিদ্রোহীদের দমনে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নেওয়া। এটা অনেকটা ঝিকে মেরে বৌকে শেখানোর মতো। বিদ্রোহী দমন করে স্থানিক বিজয়ের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আসাদ বাহিনীর সাহসোচিত মনোবল প্রকাশ করা। এবং একইসাথে যুক্তরাষ্ট্র ও তার সঙ্গীজোটকে দেখানো আসাদ বাহিনীকে সরানো যাবে না।
এর আরেকটি পন্থা নেওয়া হতে পারে সংঘাতকে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। তবে এ পন্থা একইসাথে সিরিয়ার জন্য খাল কেটে কুমির আনার মতো। তুরস্কে হামলা চালিয়ে এ পথে হাঁটতে শুরু করতে পারে আসাদ বাহিনী। একইভাবে জর্ডানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর উপর হামলা করতে পারে। আরেকটু আগ বাড়িয়ে পারে ইসরাইলে ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুড়ে দিতে। এভাবে তারা চারপাশকে সংঘাতময় করে তুলতে পারে। তবে সিরিয়ার জন্য সমস্যা হচ্ছে এক্ষত্রে তুরস্ক নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেরা করতেই প্রস্তুত। জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ক্ষেত্রেও তাই। প্রত্যেক দেশেরই ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
আর ইসরায়েলে আক্রমণ করাও সিরিয়ার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ একটি বড় আকারের সংঘাতময় অবস্থা সৃষ্টি করবে। এক্ষত্রে আসাদ বাহিনীর মিত্র লেবাননভিত্তিক শিয়া নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী সংগঠন হিজবুল্লাহ সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই তারা বলেছে, আসাদকে হুমকি দেওয়া হলে তারা ইসরায়েল হামলা করবে। এদিকে ইসরায়েলও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ছায়াযুদ্ধ বা প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে সিরিয়া ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশসমূহে হামলা চালাতে হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনকে কাজে লাগাতে পারে। এ নিয়ে আবার ইরানের পূর্ণদৃষ্টি রয়েছে। সিরিয়া ইরানের সাথে পারমাণবিক নথি বিষয়ে পশ্চিমাদের সাথে ঝামেলায় জড়াবে। এ কাজে ইরান হিজুল্লাহকে কাজে লাগাতে পারে।
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
সিরিয়ায় সাধারণ মানুষ নিহত এখনও অব্যাহত রয়েছে। হতাহতের ঘটনা বন্ধ করতেই দেশিটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ চালাতে উদ্যত পশ্চিমারা, বাজছে যুদ্ধের দামামা। বিউগলের শব্দে শঙ্কিত হয়ে উঠেছে বিশ্ব। শান্তিপ্রিয় মানুষ আরেকবার ইরাক কিংবা আফগানিস্তানের পরিণতি দেখতে চায় না, চাইতেও পারেনা। পৃথিবীতে শান্তি বর্ষিত হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০,২০১৩
এসএফআই/আরকে