ঢাকা: মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির হাজার হাজার সমর্থক কায়রো ও দেশের অন্যান্য শহরে শুক্রবার বিক্ষোভ করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তারা মুরসিকে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ বের করেন।
নিরাপত্তা বাহিনী হুঁশিয়ারি দেয়, বিক্ষোভ সহিংসতার রূপ নিলে তারা গুলি করতে বাধ্য হবে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় কায়রোর শাহেব রুমি মসজিদ থেকে প্রায় ৫জন বিক্ষোভ বের করে।
‘জেগে ওঠো, ভয় পেয়ো না, সেনাবাহিনীকে অবশ্যই যেতে হবে’, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খুনি!’ এবং ‘মিশর ইসলামি, নিরপেক্ষ নয়’ বলে স্লোগান দেয়।
দুপুরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ বের করেন মুরসি সমর্থকরা।
দুই সপ্তাহ আগে সেনাঅভিযানে শত শত বিক্ষোভকারী নিহত ও মুসলিম ব্রাদারহুডের বেশ কয়েকজন নেতার গ্রেফতারে মুরসিপন্থিরা যে দমিয়ে যাননি তারই ইঙ্গিত শুক্রবারের বিক্ষোভ।
পোর্ট সৈয়দ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুরসি সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২১জন আহত হয়েছে। মুরসির সমর্থকদের দাবি, শারকিয়া অঞ্চলে একজন নিহত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, মুরসি সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে মাত্র একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কায়রোর বাইরে গিজা মসজিদের কাছে ওই সংঘর্ষ হয়।
কালো পোশাক, গুলিপ্রতিরোধক জ্যাকেট ও হেলমেট পরিহিত দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সৈন্যরাও বিভিন্ন তল্লাসি চৌকিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়। তাদের হাতে ছিল কাদানে গ্যাস ও অর্ধ-স্বয়ংক্রিয় বন্দুক (সেমি অটোমেটিক রাইফেল)।
নীলনদের ওপর দিয়ে একটি ব্রিজ বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
মুরসিকে ৩ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত করে মিশরের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার মুরসির মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৩
এসএফআই/আরআইএস