ঢাকা: নিজেকে ‘রণক্লান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে নিষিদ্ধ ‘রাসায়নিক অস্ত্র’ ব্যবহারের প্রতিবাদে সিরিয়াকে সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবার বারাক ওবামা বলেছেন, তিনি ‘সীমিত পরিসরে’ সিরিয়ায় হামলার কথা বিবেচনা করছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় এক হাজার ৪শ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে। তারা দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এ সংখ্যা বলেছে।
সাংবাদিকদের ওবামা বলেন, তিনি এখনও (হামলার ব্যাপারে) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ার কমান্ডকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌজাহাজ থেকে ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হতে পারে। তবে রাসায়নিক অস্ত্রাগারে এ হামলা হবে না।
বাল্টিক অঞ্চলভুক্ত লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ার সফররত সরকারপ্রধানদের সঙ্গে এক বৈঠকে ওবামা বলেন, স্পষ্ট লঙ্ঘনকে উপেক্ষা করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের মধ্যে পড়ে না।
তিনি বলেছেন, সিরিয়ার (রাসায়নিক অস্ত্র) হামলা ‘বিশ্বের জন্য ঝুঁকি’ যা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েল, তুরস্ক ও জর্ডানের জন্য হুমকিস্বরূপ যদি তা সন্ত্রাসীদের হাতে যায়।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের দাবি, বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করা জিহাদিরা আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতেই ২১ আগস্ট রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালায়। তবে ওবামাসহ তার মিত্ররা আসাদ সরকারের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
শুক্রবার সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা নিয়ে নিজেদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে ওই হামলায় এক হাজার ৪শ জনের বেশি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সিরিয়ায় হামলা চালানোর জন্য সমর্থন দিলেও দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা হামলা চালানোর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের পিছুটানে কিছুটা ‘অস্বস্তিতে’ পড়েছে ওবামা প্রশাসন।
ফ্রান্সও আগের চেয়ে সুর নরম করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেছেন, তারা যুক্তরাজ্যের পিছুটানে হতাশ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের পাশে রয়েছেন তারা, তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৩
এসএফআই/বিএসকে