ঢাকা: দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনার মামলার প্রথম রায় শোনার অপেক্ষায় রয়েছে ভারতবাসী। শনিবার একটি কিশোর আদালতে এ রায় ঘোষণা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৬ অভিযুক্তের মধ্যে এক কিশোরের বিরুদ্ধে রায় দেবে আদালত। ঘটনার সময় ওই কিশোরের বয়স ছিল ১৭ বছর। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সংশোধনালয়ে তিন বছর থাকতে হবে।
৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিজেপির নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামীর একটি পিটিশনের কারণে রায় প্রদান স্থগিত হয়। ২২ আগস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ওই পিটিশন খারিজ করে দিলে আদালতের রায় দেওয়ার পথ সুগম হয়।
সুপ্রিম কোর্ট রুলিংয়ে জানান, গণধর্ষণ ও ওই বাস আরোহী কাঠমিস্ত্রী টাকা-পয়সা ছিনতাই উভয় মামলায় কিশোর আদালত রায় দিতে পারবে।
১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও তার বন্ধুকে নির্যাতনের আগে ওই কাঠমিস্ত্রীর সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয় অভিযুক্তরা।
ধর্ষণের পর অভিযুক্তরা মেয়েটি ও তার বন্ধুকে চলন্ত বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। জীবনের সঙ্গে লড়াই করে মেয়েটি ১১দিন পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
অভিযুক্তদের সবারই ফাঁসি চায় মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা।
গত মাসে কারাগারে এক অভিযুক্ত আত্মহত্যা করে। অন্য চারজনের বিচার বিশেষ দ্রুত আদালতে হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড হবে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে তাদের বিরুদ্ধে রায় হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
দিল্লির এ ঘটনা ভারতসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করে। আন্দোলনের মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও অন্যতম নেতা রাহুল গান্ধীসহ অনেকে অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি প্রদান এবং নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৩
এসএফআই/বিএসকে