ঢাকা: ৩১ আগস্ট দিল্লির কিশোর আদালত গত ডিসেম্বর গণধর্ষণ মামলার প্রথম রায় দেবেন। ৬ অভিযুক্তের মধ্যে এক কিশোরের বিরুদ্ধে রায় দেবে আদালত।
ঘটনার সময় ওই কিশোরের বয়স ছিল ১৭ বছর। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সংশোধনালয়ে তিন বছর থাকতে হবে।
কিন্তু পরিবারের দাবি, কিশোরসহ সব অভিযুক্তের ফাঁসি দিতে হবে। মেয়েটির মা বলেছেন, ‘আমার মেয়ের হত্যাকারীরা বেঁচে আছে এটি জেনে কিভাবে আমি বসবাস করব?’
ভারতের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের প্রতি তার আবেদন, অপরাধীর বয়স নয়, অপরাধ বিবেচনা করে শাস্তি দেয়া উচিত। ২৩ বছর বয়সী মেডিকেল শিক্ষার্থীর মার প্রশ্ন, অন্যদের মতো তার অপরাধও গুরুতর, তাহলে কেন তাকে লঘু শাস্তি দেওয়া হবে?
প্রথম রায় পেতে আট মাস অপেক্ষা করায় ক্ষুব্ধ মেয়েটির পরিবার। পরিবার বলছে, তারা প্রতারিত হয়েছেন।
মেয়েটির মা বলেন, ‘ আমরা আইন সম্পর্কে খুব একটা জানি না, কিন্তু জানি কিশোররা লঘু শাস্তি পায়। কিন্তু এটি ভুল বার্তা দেবে, এ ধরনের অপরাধ করতে আরও উৎসাহ দেবে। ’
গত ৫ আগস্ট ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়। কিন্তু কিশোরের সংজ্ঞা পরিবর্তনের জন্য বিজেপির নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামীর এক আবেদনে আদালতের রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়। ২২ আগস্ট বিজেপি নেতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট রুলিং দেয়। ওই রুলিংয়ে বলা হয়, কিশোরের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার কোনো বাধা নেই কিশোর আদালতের।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে শহর থেকে বাসা ফিরছিল ২৩ বছর বয়সী এক মেডিকেল ছাত্রী ও তার বন্ধু। কোনো যানবাহন না পাওয়ায় তারা একটি প্রাইভেট গাড়িতে উঠেন। গাড়ীর চালক ও হেলপারসহ গাড়ীতে থাকা অন্য চারজন মেয়েটিকে চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ ও তার বন্ধুকে বেদম মারপিঠ করে ফেলে দেয়।
জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে মেয়েটি ১১ দিন পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান।
দিল্লির এ ঘটনা ভারতসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করে। আন্দোলনের মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও অন্যতম নেতা রাহুল গান্ধীসহ অনেকে অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তি প্রদান এবং নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৩
এসএফআই/বিএসকে