আগরতলা (ত্রিপুরা): দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছেন ত্রিপুরা হাইকোর্ট। এক নিরীহ ব্যক্তিকে থানায় এনে মারধরের অভিযোগে প্রমাণিত হওয়া শাস্তি হিসেবে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে তাদের।
একই সঙ্গে আট সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার টাকা ফেরত না দিলে বছরে ছয় শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার কথাও বলেছেন আদালত।
শনিবার এ রায় দেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্রকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ। দুই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন অরিন্দম নাথ ও রূপক চক্রবর্তী।
ঘটনা ১৯৯৮ সালের ঘটনা। সেসময় রাজধানীর পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন রূপক চক্রবর্তী ও সেন্ট্রাল ডিএসপি ছিলেন অরিন্দম নাথ। তারা একদিন রাতে রঞ্জিত রিয়াং নামে এক চিকিৎসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসেন। তার বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না।
শুধু জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহের ভিত্তিতেই রঞ্জিত রিয়াংকে তুলে আনে পুলিশ। তারপর থানায় এনে তার উপর অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরদিন কোনো ধরনের কেস নথিভুক্ত না করেই রঞ্জিত রিয়াংকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ ঘটনায় আদালতে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রঞ্জিত রিয়াং। দীর্ঘ দিন মামলা চলার পর সম্প্রতি এ রায় দেন ত্রিপুরা হাইকোর্ট।
দুই বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। শুধু তাই নয়, আদালত এ রায়কে ‘ফিট ফর রিপোর্টিং’ বলে জানান। অর্থাৎ রায়টি অল ইন্ডিয়া ‘ল’ জার্নালে উল্লেখ করা হবে এবং ঘটনার রেফারেন্স টেনে ভারতবর্ষের অন্য যে কোনো আদালতে রায় দেওয়া যাবে।
রুপক চক্রবর্তী চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। আর অরিন্দম নাথ বর্তমানে রাজ্য পুলিশের উচ্চপদে কর্মরত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৩
টিসি/এএ/আরকে