ঢাকা: মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানের শুরুতেই ৭১ বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ ক’জন বাংলাদেশি আছে।
কুয়ালালামপুর থেকে বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্ট আমজাদ চৌধুরী জানান, রোববার সকালে রাজধানীর বাংলা মার্কেট এলাকা থেকে তিন গাড়ি বোঝাই অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে বৈধ পাসপোর্ট যাদের আছে তাদের আটক করার পর ছেড়ে দিয়েছে মালয়েশিয়া পুলিশ।
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম দ্য স্টার অনলাইন জানায়, রোববার ভোরে শুরু হওয়া দেশব্যাপী ব্যাপক অভিযানে ৬০ পুরুষ ও ১১ জন নারী অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ও নেপালের নাগরিক।
অভিবাসন দপ্তর বলছে, বুকিত রাজা, ক্লাং এবং দেংকিল এলাকার বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকা এসব অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে অভিবাসন দপ্তর, পুলিশ, আর্মড ফোর্সেস, রেলা করপোরেশন, সিভিল ডিফেন্স, ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়ে গঠিত এক লাখ ৩৫ হাজার সদস্যের বিশাল বাহিনী কাজ করবে।
দ্য স্টার জানায়, আটক অভিবাসীদের বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে ১৪ দিন সময় দেওয়া হবে। এতে ব্যর্থ হলে তাদের ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রাখা হবে। আর এখানে বন্দি হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশে ফেরত পাঠাতে কোনো সহায়তা করতে পারবে না আটক নাগরিকের নিজ দেশের হাইকমিশন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন দপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) সারাভানা কুমার বলেন, আটককৃতদের স্থানীয় অভিবাসন আইনের ৬, ১৫(৪) এবং ৫৫ ধারা অনুযায়ী তদন্তের মুখোমুখি করা হবে এবং অবিলম্বে স্বদেশে নির্বাসিত করা হবে।
সারাভানা বলেন, এই অভিযানের প্রথম ধাপ চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
তিনি জানান, পরিত্যক্ত বাড়ি, খামার, বিনোদনকেন্দ্র এবং ম্যাসাজ পার্লারও এই অভিযান থেকে বাদ যাবে না।
বছর দুই আগে অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষমা করে বৈধতা নিয়ে কাজ করার সুযোগ ও সময়সীমা বেঁধে দেয় মালয়েশিয়া সরকার। কিন্তু সম্প্রতি ওই সময়সীমাও শেষ হয়ে যায়। এছাড়া, দেশটিতে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এবং এসব অপরাধে বিদেশিদের ক্রমবধৃমান সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের কারণে প্রায় পাঁচ লাখ অভিবাসীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৩/আপডেটেড ১১৩২ ঘণ্টা/আপডেট ১২০০ ঘণ্টা
এইচএ/জেডএম/জেএম/আরআইএস