ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার ২০ লাখ নাগরিক শরণার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৩
সিরিয়ার ২০ লাখ নাগরিক শরণার্থী

ঢাকা: জাতিসংঘের শরণার্থী পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে সিরিয়ার ২০ লাখেরও বেশি নাগরিক। এর মধ্যে গত তিন মাসেই সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছে পাঁচ লাখ নাগরিক।



ইউএনএইচসিআর’র বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো মঙ্গলবার জানায়, এর মধ্যে কেবল লেবাননেই আশ্রয় নিয়েছে সাত লাখ শরণার্থী। এছাড়া বর্তমান বিশ্বে সিরিয়ার নাগরিকরাই অন্য যেকোনো দেশের নাগরিকদের চেয়ে বেশি উদ্বাস্তু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শাখা সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসে অনুমোদন পেলেই সিরিয়ায় হামলা করবে মার্কিন বাহিনী।

ইউএনএইচসিআর বিবৃতিতে জানায়, সিরিয়ায় নারী, শিশু ও পুরুষের রক্ত অবিরাম প্রবাহিত হচ্ছে। তাই অনেক নাগরিকই এখন অপর্যাপ্ত কাপড়-চোপড় নিয়ে হলেও সীমান্ত অতিক্রম করে পরদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটি আরও জানায়, দেশত্যাগে বাধ্য করা এসব নাগরিকদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই অর্থাৎ ১০ লাখই হচ্ছে শিশু এবং এদের তিন চতুর্থাংশেরই বয়স ১১ বছরের নিচে।

উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউএনএইচসিআর’র বিবৃতিতে বলা হয়, শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া এসব শিশুদের মধ্যে ‍মাত্র এক লাখ ১৮ হাজার শিশু শিক্ষার আলো কিছুটা পাচ্ছে। আর সামাজিক ও সাংস্কৃতি পরামর্শ পাচ্ছে মাত্র এক-পঞ্চমাংশ শিশু।

গৃহযুদ্ধের অভিশাপে প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সিরিয়ার ভবিষ্যৎ পুনর্নির্মাণের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সংস্থাটি।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, সিরিয়ার অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে আয়তনে অনেক বেশি ছোট হলেও সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় দিচ্ছে লেবাননই। তারপর সিরিয়ার নাগরিকদের বেশি আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে জর্দান ও তুরস্ক।

শরণার্থীদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে যে তহবিল দরকার তার মাত্র ৪৭ ভাগ যোগাড় হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বরাবরের মতোই প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৩
এইচএ/বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।