ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে শান্তি কনসার্টের বিরুদ্ধে হরতাল ঘোষণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৩

কলকাতা : কাশ্মীরে আগামী শনিবার  বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী জুবিন মেহেতা‘র  ‘শান্তি কনসার্ট’র বিরুদ্ধে হরতালের ডাক দিল হুরিয়ত কনফারেন্স।

হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা সৈয়দ আবদুল গিলানি জানিয়েছেন এ ধরনের অনুষ্ঠান কাশ্মীরের প্রকৃত  সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলবে।


 
গিলানি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের জনসাধারণকে এই এই অনুষ্ঠানের প্রতিবাদে ঘরের ভেতরে থাকতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন যেখানে প্রতিনিয়ত কাশ্মীরের মানুষদের মানবিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে সেখানে এই ধরনের অনুষ্ঠান অপ্রাসঙ্গিক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য- ভারতে অবস্থিত জার্মান দূতাবাস ভারত সরকারের সহায়তায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। গিলানি কাশ্মীরের জনগণকে আগামী ৬ অক্টোবর বিক্ষোভ এবং ৭ অক্টোবর হরতাল পালনের ডাক দিয়েছেন।

আপরদিকে কলকাতায় এই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে সওয়াল করেছেন গায়ক তথা ভারতের লোকসভার সদস্য কবির সুমন। কবির সুমন বলেন, কাশ্মীরে ৭০,০০০ মানুষ মারা গেছেন, ১০,০০০ মানুষ নিখোঁজ এছাড়াও সহস্রাধিক মহিলা ধর্ষণের শিকার।

কবির সুমন আরও প্রশ্ন তুলেছেন? “কার জন্য শান্তি? জার্মান দূতাবাসের এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে কবির সুমন বিশ্ববিখ্যাত জার্মান সঙ্গীতকার হ্যান্স উরনার হেঞ্জ এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন “সঙ্গীতও মানুষকে দাসে পরিণত করতে পারে”।

কবীর সুমন আরও বলেছেন সঙ্গীত গুরু জুবিন মেহতা কাশ্মীরের মানুষদের হিন্দু ও মুসলিম এই ভাগে বিভক্ত করে চিন্তা করছেন। তিনি যদি ইন্টারনেটে একটু খোঁজ খবর নেন তাহলেই কাশ্মীরের আসল অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

 সুমন আরও বলেন, একজন ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতের সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত মানুষ হিসেবে আমিও এই সঙ্গীতানুষ্ঠানের বিরোধিতা করছি।

আপর এক কাশ্মীরী নেতা মিরায উমর ফারুক বলেছেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এই অনুষ্ঠান না করে উন্নয়ন, শিক্ষা স্বাস্থ্য খাতে এই টাকা ব্যয় করলে কাশ্মীরিদের প্রকৃত উন্নতি হত।

তবে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে- অনুষ্ঠান হবেই। এরমধ্যেই ১৫০০ বিশেষ অতিথিদের তালিকা তৈরি করা হয়ে গেছে। এই উপলক্ষে শ্রীনগরের শালিমার উদ্যানকে নতুন ভাবে সাজান হচ্ছে।

মুঘল সুলতান জাহাঙ্গীর তার রানী নূর জাহানের জন্য এই উদ্যান তৈরি করেছিলেন। গোটা উদ্যানকে এই অনুষ্ঠানের  জন্য সাদা রঙ করা হয়েছে। তবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে ছোট ছোট প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের মনে কি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তাই পর্যবেক্ষণের বিষয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টবোর ০৩, ২০১৩  
ভিএস, এসএস/জেসিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।