ঢাকা: সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর লক্ষ্যে ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেও শেষ মুহূর্তে কংগ্রেসের অনুমোদন চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর মধ্যে বুধবার সিরিয়া অভিযানের খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক পরিষদ।
ওবামার পক্ষে সিনেটের খসড়া প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার পড়ছে কংগ্রেসের অনুমোদন। আর কংগ্রেসের বহুল প্রত্যাশিত সেই অধিবেশন বসছে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিরিয়ায় অভিযান হচ্ছে না এমনটা অনুমান করা গেলেও ৯ সেপ্টেম্বর কী হবে মার্কিন কংগ্রেসে- এ নিয়েই এখন মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের ভাবনা।
অতীতের যুদ্ধগুলোর মতোই তর্ক-বিতর্ক শেষে যদি সিনেটের প্রস্তাব অনুসারে সিরিয়ায় ৬০ দিনের অভিযানের সিদ্ধান্তটি অথবা ‘সীমিত পরিসরে’ হামলার সিদ্ধান্তটি অনুমোদন হয়ে যায়, তবে তারপর মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে এটা সহজেই অনুমান করা যায়।
অবশ্য, জাতিসংঘের অনুমোদন ব্যতীত সিরিয়ায় হামলা হলে সেটা যুদ্ধাপরাধ বলেই বিবেচিত হবে বলে ওবামাকে সতর্ক করেছেন মার্কিন দার্শনিক ও লেখক নোয়াম চমস্কি।
তাছাড়া, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিনও বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী কর্তৃক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ হাজির করতে না পারলে দেশটিতে হামলা চালানোর প্রস্তাব জাতিসংঘে উত্থাপিত হলে ভেটো দিবে মস্কো। রাশিয়ার সঙ্গে ভেটো দেওয়ার কথা ব্যক্ত করেছে চীনও।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র যদি জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত ছাড়াই সিরিয়ার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়। তাহলে রাশিয়া কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা বলার সময় আসেনি বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিন।
তবে অতীতের যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থান ও মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করলে দেখা যায়, প্রায় সবগুলো যুদ্ধেই জড়ানোর ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন প্রখ্যাত দার্শনিক, মানবাধিকারকর্মী এবং খোদ নিজ দেশের নাগরিকরাও।
কিন্তু এসবকে থোড়াই কেয়ার করে একবার যুদ্ধের হাওয়া লাগলে সেখান থেকে পিছু হটেনি যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৩
এইচএ/এসআরএস
.jpg)
